Saturday, December 06, 2014

পাঁচ মিনিট

জীবন মানে,
অফিস শেষে, ছুটে ছুটে বাড়ী চলা। 
জীবন মানে, 
মনের মানুষ, পাশে বসে, কথা বলা। 

অথবা, 
পাঁচ আঙ্গুল ভরা 
সোহাগ দিয়ে মাখানো নলা। 
অথবা, 
গুন-গুনিয়ে, 
ঘুমপাড়ানি গান, মৃদু গলা। 

অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করে, 
এভাবে জীবনের ছোঁয়া পাওয়া। 
এভাবেই দিন, কাটে প্রতিদিন, 
প্রতিটা মানুষেরই একই চাওয়া। 
আমার জীবনটার, পাঁচ মিনিট। 
আমার সময়টা, পাঁচ মিনিট। 

জীবন মানে, 
ভাজ ভাঙ্গা শার্ট, আরেকটু যত্নে কাজল টানা। 
জীবন মানে, 
দিব্যি মাথার, আর যে সিগারেট খেতে মানা। 

অথবা, 
পথে থেমে হঠাৎ, 
বেলীর মালা মুঠোয় পকেট মাখা। 
অথবা, 
সেই উপহারেও, 
খুশি চেপে নির্লিপ্ত থাকা। 

অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করে, 
এভাবে জীবনের ছোঁয়া পাওয়া। 
এভাবেই দিন, কাটে প্রতিদিন, 
প্রতিটা মানুষেরই একই চাওয়া। 
আমার জীবনটার, পাঁচ মিনিট। 
আমার সময়টা, পাঁচ মিনিট। 

ছোট ছোট, 
মুহুর্ত হলেও, জীবন জুড়ে আশা, ফিরে পাবার। 
কুড়িয়ে পেতে, 
যতন করে, মুহুর্তগুলো জমিয়ে নেবার...

আমার জীবন ছিল, পাঁচ মিনিট। 
মুছে ফেলা সেই, পাঁচ মিনিট। 
বেচে থাকার সেই, পাঁচ মিনিট।





Saturday, July 12, 2014

নির্ঘুম অথবা নিদ্রাহীনতা...

কেউ কেউ অতন্দ্র প্রহরী,
কেউ কেউ জেগেই থাকে।

ইচ্ছে হোক, অনিচ্ছায় হোক,
আশায় হোক আর নিরাশায়...

স্বপ্নবাজ মানুষের,
শত কোটি সুস্বপ্নের সম্ভাবনা
ধুলোয় লুটোপুটি খায়...

কেউ কেউ জেগেই থাকে।

স্বপ্ন বিলি করে,
শূন্য ঝোলা নিয়ে বাড়ি ফিরে
আরও একটি ভোরের প্রতীক্ষা...

কেউ কেউ জেগেই থাকে।

Thursday, June 26, 2014

ভাবনার ভাবানাগুলো

ভাবছি শুধুই।
ভাবছি বসে আপন মনে,
কি ভাবা যায়।

ইচ্ছে মত ভাবতে গেলে,
দায় রয়ে যায়।
অনধিকার চর্চা হবার
ভয় রয়ে যায়।

বেয়াড়া সব ভাবনা গুলো
সীমানা পেরোয়
হতচ্ছাড়া, লাগাম ছাড়াই
লাফায়, জিরোয়।

কোন কিছু ভাবতে গেলে
ভাবনা ঘুড়ির সুতো ছাড়ে।
হঠাৎ করে গোত্তা খেয়ে
মনে ভেতর কষ্ট বাড়ে।

এখন থেকে ঠিক করেছি,
ভাববো না আর।

ভাবার আগে ঠিক করব,
কি ভাবা যায়।
কোনটা সঠিক, কোনটা বেঠিক।
কোন ভাবনার লাগাম আছে,
ইচ্ছে মত যায় থামানো।
এখন যে তাই,
ভাবছি শুধুই।

ভাবছি বসে আপন মনে,
কি ভাবা যায়।

মাঝে মাঝে...

মাঝে মাঝে আজব সব প্রশ্ন করিস,
ভুলেই যাস, উত্তর তোর পছন্দ নয়।
মাঝে মাঝে আমায় খুবই অবাক করিস,
ভুলেই যাস, অপছন্দ এই বিষ্ময়।

মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকি মাঝে মাঝেই।
আমিও ভুলি, মুগ্ধতা তোর পছন্দ না।
যেটুকু পারি চেপে রাখি মনের ভাজেই,
মঝে মাঝে, উপচে পরে সেই ভাবনা।

Tuesday, June 03, 2014

এই বেশ...

এভাবেই চলতে থাকুক পথচলা,
এভাবেই চলুক কথার ফুলঝুরি।

এভাবেই জোছনা নামুক, রাত জুড়ে,
এভাবেই বৃষ্টি নামুক অঝোরে।

এভাবেই ঘুরতে থাকুক তিন চাকা,
এভাবেই হাটতে থাকা, পথ ফাঁকা।

এভাবেই লিখে চলা ভাবনাটা,
এভাবেই গাইতে থাকা, আনমনে।

এভাবেই ভালোবাসার রূপ দেখা।
এভাবেই ডুবে যাওয়া তোর সনে। 

Sunday, June 01, 2014

এই মুহূর্তে...

মাঝে মাঝে মনে হয়,
সময় থেমে যাক।
এই মুহূর্তটাই আটকে থাকুক
অনন্তকাল।
পাশাপাশি।

থেমে যাক, সব জীবনের কোলাহল,
থেমে যাক, মৃত্যুর পদচারণা।
থেমে যাক,
রোগ, শোক, জরা, ক্ষয়।
থেমে যাক, গতি।
হাওয়ার খেলা, সাগরের ঢেউ।

থেমে যাক, গ্রহ নক্ষত্রের আবর্তন।
থেমে যাক, আকর্ষণ, আর দুরে সরে যাওয়া।
থেমে যাক,
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, সবকিছু।
থেমে যাক, বিশ্বসংসার
তার সকল কিছু নিয়ে।

মাঝে মাঝে মনে হয়,
সময় থেমে যাক।
এইখানেই আটকে থাকি
আমরা দুইজন।

এভাবেই দেখতে থাকি,
অবাক বিস্ময়ে, লাজুক হাসি।
অনন্তকাল ধরে।
পাশাপাশি।

Wednesday, May 28, 2014

কেন বলি ভালোবাসি বারে বার

ভালোবাসার অনুভূতিটা,
উপচে পরার মতই...

অনেক বেশি...

চিৎকার করে বারংবার
নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়...

দেখিস,
তোর মনেও চিৎকার করে।
হয়তো,
তুই সেটা,
মুখে ফোটাস না।

তোর মন,
তোর প্রাণ,
তোর সমগ্র অস্তিত্ব,
চিৎকার করে জানান দিতে চায়
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি...

সবাই তো তোর মত নয়,
কাউকে কাউকে
এই চিৎকার
গ্রাস করে নেয়।

দম বন্ধ করা সেই অনুভূতি
তখন,
চিৎকার করে নিজের অস্তিত্ব জানায়।
চোখে,
মুখে,
কানে,
সবখানে।

আর তখন,
কিছু কিছু মানুষও,
বেচে থাকার প্রবল বাসনায়...
মৃত্যুর কাছাকাছি সেই
অনুভূতির গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে
বারংবার চিৎকার করে বলে উঠে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি...

আমিও,
সেই সাধারণেরই একজন।

ভালোবাসার অনুভূতিটা,
গ্রাস করার মতই...
ভালোবাসার অনুভূতিটা,
ডুবিয়ে ফেলার মতই...

Monday, May 26, 2014

স্বর্ণপ্রহর

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যাওয়া। গোসলের আগে দ্রুত শেভ করে চুলটাও সেই ফাঁকে একটু গুছিয়ে নেয়া। একেবারে পরিপাটি হয়ে নাস্তার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ শুরু। 

সকালের তপ্ত রোদে অপেক্ষা সহসাই শীতল হওয়া আকাশী রঙের দেখা পেয়ে। এরপরে খুনসুটি চলতে থাকে রোদ-ছায়া আর মেঘলা-হওয়ায়। ভাগ্য বলে সত্যিই কিছু আছে নাকি স্রেফ ভ্রম, এটা ভেবে শেষ করার আগেই, ভাগ্যদেবী আবারও চমকে দেন, না পাওয়াটা পাইয়ে দিয়ে। চিনি মাখা রুটির তালগোলে কেটে যায় আরও কিছুটা সময়।

তিন চাকার ঘূর্ণনে পৌঁছে যাওয়া আরও এক দফা অপেক্ষার সামনে। পোড়া-মুখে আফসোস হয়, চোখে চোখে মেপে নেয়া দৃষ্টির যুদ্ধ চলে, আর, হাতির রোগা-পটকা সাথীর সাথে চলতে থাকে অনুযোগ। এভাবেই লেইস-ফিতা আর জলে ভাসা সাবান ছাড়িয়ে নিয়ে যায় বিদায়ের লগ্ন। 

খোলা হাওয়ায় দীঘল চুলের পাল উড়িয়ে ভেসে চলা এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। সিক্ত হবার ভয়ে সাবধানী হাতে ভাঙ্গে কাচের টুকরো। দুমড়ানো পলিথিনে, ভালো লাগা মুহূর্তগুলোকে আরও একটু দীর্ঘায়ু করার আকুতি জানান দেয়।

পাগলামি, চুরি করে গায়ে মাখা, বৃষ্টির আদর। পাশাপাশি, তিন চাকা কেবল ঘুরতেই থাকে। সেই সাথে অবাক চোখে বৃষ্টির খেলা দেখা, দেখা আকাশী হাসি। ভেজা বর্ষায় ভেজা হাত ছুঁয়ে দেবার প্রবল বাসনা চাপা পরতে থাকে সংকোচের আড়ালে। চরকির পাক থামলে, খুনসুটি চলে মুগ্ধ দৃষ্টিতে বিরক্তি নিয়ে। এক ফাঁকে, দুরের আলাপনে প্রিয় মানুষ দেখা, দেখানোর ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হলেও ভাটা পরে না উপভোগ্যের আগমনীতে। সেই সাথে হাটাহাটি পাশাপাশি। বোঝার ভার হাল্কা হতেই দে ছুট, দে ছুট... 

বেগুনী পাপড়ির ছোঁয়া নেয় নরম হাত আর ঠোট ছুঁয়ে দেয়া ধোয়া উঠা চা। সহস্র ছবি তুলে নেয়া মনের ক্যামেরায়, হাজার ভঙ্গি আর হাজার কোন থেকে। কল্পনাতে এভাবেই পার হোক হাজার বছর। তবু, চঞ্চলতার চপলতায় সেই ক্ষণেও নাড়া লাগে। ভিজে যাওয়া নীলচে শীতলতা কাটে অব-লাল পরশে।

দুর হতে জলাধারে জলের খেলা দেখা বিষণ্ণ আকাশী মুহূর্তটাকে মনে হতে থাকে সোনালী সময়। ফিরে পেতে এমন ক্ষণ হাজার বার বুক বাধে মন আবারো আশায়। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই বাধিয়ে রাখা যায় এই উপলব্ধিটাই বড় হয়ে উঠে। এমন দিনে মনে হতে থকে, জীবন আসলেই সুন্দর। এরপরে ধোয়া ওঠা বকুলের ঘ্রাণ, মাতাল পাগল করা। ফিরে যাবার কথাটাতেও কষ্টের ছাপ থাকে না আর। বরং, নিশ্চিত ভাঙ্গনের আশংকা কেটে যায়, অচেনা মুহূর্তগুলোকে ফ্রেমে বেধে ফেলে। সুখ নিয়ে কাঁধে নেয়া আবার বোঝা, ফেরার সময় হল। বুকের কাটাটাও ফিরিয়ে দিতে হয়, আনমনে রয়ে যায় ইস্পাতের পাতখানি, অগোচরেই। 

চাকা আবারও ঘুরতে থাকে। বিদায় বলাটাও সুন্দর হতে পারে, সেই সম্ভাবনা বুকেই লুকিয়ে থাকে। বিকেল গড়িয়ে যায়। এরচেয়ে বেশি হলে, উপচে পরতেই পারে। তবু আবারও এমন দিন আসবেই, আসবে। আশা আছে, আছে বিশ্বাস, পুরোটাই। তাই, বিদায় বলাটাও সুন্দর হতে পারে। ফিরে যাওয়া একই পথে। বিকেলের শেষ। 
আনমনে গেয়ে ওঠা গানটাকে কেন যেন খুবই পরিচিত মনে হতে থাকে। এ তো আমারই কথা!!! ভর সন্ধ্যায়, একলা ফেরার পথে, অসম্ভব সুন্দর কিছু মুহূর্তের শেষে রেশ ধরে রাখে, মনের কোনে বাজতে থাকা গানটা - 

"...আমার সারাটা দিন,
মেঘলা আকাশ,
বৃষ্টি,
তোমাকে দিলাম।
শুধু শ্রাবণ সন্ধ্যাটুকু
তোমার কাছে, চেয়ে নিলাম।..."

Sunday, May 18, 2014

পুজারী

পাড়ি দিতে পারি,
পৃথিবীর ওই প্রান্তে,
যদি সেটা হয়,
আপনার উদ্দেশ্যে।

হেটে ছুতে পারি,
সরে যাওয়া দিগন্ত।
যদি সেটা হয়
আপনার পাশাপাশি।

তবে দেবী,

যদি ছোঁয়া যেত
তব হাতে, এই হাত...
তবে বলতেম,
মরিতেও নাহি খেদ...

কেউ পূজা দেয়,
ভক্তির স্রোত থেকে,
কেউ পূজা দেয়,
ধর্মের শৃঙ্খলে...

আমার পূজা,
হৃদয় গভীর হতে,
অঞ্জলি দেই,
প্রেমের কাব্য ঢেলে...

Saturday, May 17, 2014

নয় নম্বর বিকল কপোট্রন থেকে...

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, সবাই জানুক...
বুকের ভেতর আমার এত সুখ।
কেমন করে করছি উপভোগ, ভাবনাগুলো।

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, সবাই জানুক...
কোন কথাটা বুকের ভেতর তুলছে আলোড়ন।
কেমন করে, বলছি সেটা।

ঠিক তখনই কবিতা হয়,
তোকে বলা কথা গুলোই...
ঠিক তখনই গান হয়ে যায়
তোকে ঘিরে অনুভূতির দল...

কলম খাতায় সখ্য বাড়ে,
সখ্য বাড়ায় ছন্দ ও সুর
ভাবনাগুলো গুছিয়ে যায়, আপনা থেকেই।

তোকে ঘিরে আবর্তনে,
যন্ত্র থেকে বিবর্তিত
আবেগ সহ পূর্ণ মানুষ।

কথার ঝুড়ি ফুটতে থাকে,
ভাসতে থাকে গানের সুরে
মানুষ থেকে মহা-মানুষ, প্রেমের ছোঁয়ায়।

অন্য সময়, অন্য খানে,
হারায় আবেগ,
যান্ত্রিকতায়।
নয় নম্বর, যন্ত্র-পুরুষ...

সমীকরণ মাথায় আছে,
হিসেব আছে,
নিয়ম-কানুন সবই আছে,
ইচ্ছেও আছে।

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, নিয়ম ভাঙ্গুক...
মানুষ হয়ে যাই পেয়ে তোর,
নরম আদর।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, সবাই জানুক...
চলছে কি এই বুকের ভেতর।

Friday, May 16, 2014

হিমেল হাওয়ার গল্প


নরম সীটে গা এলিয়ে
জানলা দিয়ে,
রোদ্দুর দেখ।

দেখতে পাবি,
একটা ছেলে,
একলা চলে,
রিকশা সীটে, আলতো হাসি,
মুঠোয় ভরা আলাপনে মগ্ন থেকে,
শরীর মাখে,
রোদ্দুর আর গরম হাওয়ায়।

নাও বা যদি দেখতেও পাস,
এই শহরের কোন পথেই,
রয়েছে সে,
জেনে রাখিস।

সুচ আর সুতোয়, দিচ্ছে জোড়া,
টুকরো সময়,
নকশী কথায়,
তৈরি করা পদাবলী।

জেনে রাখিস কারণ ছাড়া
ফুল ফোটে না,
নামে না যে,
বর্ষা কভু, অঝোর ধারায়।

খুজিস না তা ও,
কোন কারণে,
তপ্ত দুপুর, হয় যে মধুর...
কোন কারণে,
গরম হাওয়াও শীতল লাগে...
কারণটুকু, থাক আড়ালেই,
সেই ছেলেটার।

Sunday, May 04, 2014

এর চেয়ে বেশি কিছু চাই না

ক্ষণিকের আলাপন
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়,
সেই সাথে বাড়তে থাকে
চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস।

যেটুকুই পেয়েছি,
লাভের খাতায় জমা হতে থাক।
এর চেয়ে
বেশি কিছু চাই না।

সুখের আড়ালে
হতাশারা জমা হতে থাক।
স্মৃতির কোঠায় জমে
খুচরো সময় সব।

হারানোর ভয় আমার
অনেক অনেক বেশি।
আশার হিসেব সব
ওলট-পালট।

আড়ালের ভালোবাসা
ভারী দীর্ঘশ্বাস হয়ে বুকেই জমে থাক।
এর চেয়ে
বেশি কিছু চাই না।

Saturday, May 03, 2014

পরিবর্তন

জীবনের মোড়ে এক,
আশ্চর্য পরিবর্তন
ছক বাধা পথ চলায়,
হঠাৎ এক ছন্দপতন।।

হঠাৎ করেই সব
এলোমেলো হয়ে গেল
হঠাৎ করেই সব
সাদা-কালো রঙে রঙিন হল।।

ভাষাহীন জীবনে আজ,
লেগেছে, সুরের ছোঁয়া
জীবনের কষ্ট গুলো আজ
হচ্ছে সাফ, যেন বৃষ্টি ধোয়া।।

মনের কোন কোনে
আশার আলো, পথ যে দেখায়
নতুন জীবন গড়ে
আমায় সে যে বাচতে শেখায়।।

হঠাৎ করেই দেখি
জীবন আমার বদলে গেছে
আধার কোন হতে সে
যে আলোর দেশে পৌঁছে গেছে

বুঝতে পেরেছি আমার হয়েছে যে কি...
বুঝতে পেরেছি, ভালোবাসতে শিখেছি...



- পল্লব,
১২ই শ্রাবণ, ১৪০৭।
27th July, 1999.

Monday, April 28, 2014

One Night's Tale

আজ রাত্রিটা বড় নিঝঝুম লাগছে,
থেকে থেকে কারা যেন গুমরে কাঁদছে।

ঐ আকাশে এক ছোট্ট তারা,
এই মাটিতে এক ছন্নছাড়া।

আমি যেন এক ভবঘুরে হায়
জমে থাকা স্মৃতির বোঝা গুমরে কাঁদায়।

ঐ যে দেখা যায়, নিশাচরের যাত্রা
রাতের কালো আধারটা আজ ছাড়িয়েছে মাত্রা।

আমি যেন আজ শুধুই একাকী
আধার মাঝে বসে বসে ভাবছি যেন কি...

রাতের একটা ফুল সৌরভ ছড়ায়
নিজেকে কেন, স্মৃতিতে জড়ায়

এখন যে আর যায় না দেখা কোন সীমান্ত
আধার মাঝে মিলিয়ে গেছে যেন দিগন্ত।

আজ রাত্রিটা, ঘোর আমাবস্যা
হঠাৎ করে নেমে এলো রিমঝিম বর্ষা।

কয়েকটা তারা, মিটিমিটি জ্বলছে
বাঁশের বনে ফিসফিসানি কথা যে চলছে।

আমিও যে এক পথহারা মুসাফির
দিনের বেলা পথের মাঝে লক্ষ লোকের ভিড়।

দিনের পথ চলা, রাতের কথা বলা
আমার মনের কোন কথায় নেই কোন ছলকলা।

ভুলে গেছি কখন কবে ছেড়েছিলাম ঘর,
পথই এখন আপন আমার
ঘর যে আমার পর।

কার খোজে যে ছেড়েছিলাম আপন ঠিকানা
এখন আমি বুনো পাখি
রয়েছে ডানা।

-পল্লব, ২১শে জানুয়ারি, ২০০০।


Sunday, April 27, 2014

পরবাসের মলিন চিঠি

বেশ কিছুদিন আগে, একবার অনেকটা সময় ঢাকায় থাকতে হবেছিল। আমি চিরকালই আড্ডাবাজ। তাই আড্ডাটা খুব মিস করতাম। তো, সেই পরবাস, ঢকাকা থাকা অবস্থায়, ফুলবাড়ীর চেম্বারের বন্ধুদের কাছে লিখা চিঠির একটা ড্রাফট আজ পেলাম। বন্ধু গোলের অনেকেরই খবর নাই। তবে, এই চিঠিটা পাঠিয়েছিলাম, এবং পরে ফেরত গিয়ে, সমনা-সমানিই চিঠির জবাব শুনেছিলাম।
স্মৃতি, দারুন একটা জিনিস। আবার ফিরে যাচ্ছি সেই অতীতে। নিজের অতীর রুপ দেখে নিজেই অবাকও হচ্ছি।


পরবাসের বিষণ্ণ বিকেলে,
স্মৃতির ভীরে গুমরে কাঁদে মন।
সন্ধ্যে-সকাল সকল কাজের ফাঁকে
পায় সে খুঁজে ঘরের নিমন্ত্রণ।

চলতি পথে হঠাৎ থমকে যাওয়া
ঘরের সাথে একটুকু মিল পাওয়া
একটু পরেই ভুল বুঝতে পারি,
আবার আমি চলতে শুরু করি।

ঘরের স্মৃতি ভাবায় না ততোটা
সখার জন্যে কাঁদে যতো মন।
বহুদূরের চেনা সে আড্ডাতে
বসে আছে বন্ধু মোর আপন।

পরবাসের আবোল তাবোল কথা
মনের মাঝে জমাট স্মৃতির ব্যথা,
বহুদূরে দিগন্তের ঐ রেখা
ঐখানে কি আছে আমার সখা?

মাতাল হওয়ায় মাতাল সবাই আজ,
আমিই শুধু বিরতিহীন কাজ।
কাজের মাঝে ভুলে থাকি স্মৃতি,
তবুও কাঁদায় আপন বন্ধু প্রীতি।

অনেক কথাই হচ্ছে মনে জড়ো
ধীরে ধীরে পত্রটা হয় বড়ো...
লিখছি চিঠি, যাবে আপন দেশ
অনেক কথাই বাকি, তবু করতে হল শেষ।

পত্রে দিলাম জানিয়ে সখা আমার মনের কথা,
দুরে বসে তোমরাও কি ভাবছ আমার কথা?

- পল্লব, 8th August, 2002.

ফুলবাড়ীর চেম্বার




অনেক আগের নিজেদের আড্ডা নিয়ে লিখা। তবে শেষ হবার আগেই কোন এক জন্মদিনে এক বন্ধুর উপর এক রাশ অভিমানের সম্পুর্ন ছাপ পরে গিয়েছিল। বাকি সবাই মিলে ঐ দোস্তকে বিশাল ঝাড়ি দেবা হইসিল। তবে সেই বন্ধুবর এখনও বর্তমান। আর বাকিরা কালের স্রোতে অনেকটাই ফিকে।



ফুলবাড়ীর চেম্বার,
আমিও যে মেম্বার
কলেজের স্বর্নালী দিন।
সিগারেট হতে ধরে,
চুটিয়ে আড্ডা মেরে
দেখে যাই স্বপ্ন রঙ্গিন।

কখনো বা সক্কাল
কখনো ভর দুপুর,
কখনো পড়ন্ত বিকেল।
আমরা মিলে সবাই,
হিসেব মিলিয়ে যাই
ক'টায় এবার হবে ফেল।

বহু বিল পাশ হয়,
আমাদের আড্ডায়
সবাই তো কথা রাখে না।
ও যদি না রাখে
আমি কেন রাখব
এই তো, সবার ধারনা।

অপমান অবিচার
মানুষ, না গণ্ডার!!!
কেউ কিছু গায়ে মাখে না।
প্রটেস্ট করতে গেলে
সক্কলে মিলে বলে,
"ও কাজ ভুলেও কোরো না"।

পাশ হয় কত বিল
যার সাথে বেশি মিল
সেই তো রাখে না কথা
একটু জনপ্রিয়তা
কে না পেতে চায়
কেউ পায়, পাক না, ব্যাথা।

কারো মুখে সারাক্ষন
চেনা সেই অঞ্জন
ভরসা পাচ্ছি না কোন।
কিন্তু বন্ধু হায়,
জানতে যে মন চায়।
  (তোর) ভরসা কি ছিল কখনো।

এই তো, আড্ডাটা
তবুও যে যেতে হয়
বন্ধু বলতে এ কটাই
কি করে বদলে যায়
এক এক জনের রঙ
এই ভেবে সময় কাটাই।










Wednesday, April 23, 2014

ছোট্ট বাবুদের, ওয়াইফাই দিয়ে নেট শেয়ারের সহজ পাঠ

কি খবর ছোট্ট বাবুরা? কেমন আছ সবাই?

ল্যাপটপ আর স্মার্ট-ফোনে সমান-তালে নেট ইউজ কর কে কে? স্মার্ট ফোন হলে তো মনে হয় এন্ডয়েড ইউজ করছ, তাই না? নাকি অন্য কিছু? ওয়াইফাই ইউজ কর? বাসায় যখন থাক, তখন মনে হয় না, ল্যাপটপের নেট যদি ওয়াইফাই দিয়ে শেয়ার করে মোবাইলে ইউজ করা যেত তাহলে খুব ভালো হত? সবাই এটার জন্য সাধারতন সফটওয়ার ইউজ করে। ঝামেলাটা অন্যখানে, বেশিরভার সফটওয়্যারেই টাকা চায় ফুল ভার্সনের জন্য, তাই না?

মজা হল, উইন্ডোজে এই ক্যাপাসিটি বিল্ট ইন আছে। কোন টাকা লাগে না। খালি একটু খাটতে হয়। তবে ফ্রি ১০টাকার কিছু পেতে, বাঙ্গালী রাত তনটা থেকে লাইন দেয়। আর তোমরা তো সেই বাঙ্গালী জাতিরই অংশ। আজকে তাই, সেই ফ্রি উপায়টাই শিখাব তোমাদের।

Tuesday, April 22, 2014

পার্থিব সুখেরা


হঠাৎ করেই পরিবর্তন এলো।
তবে,
আভাস যে ছিলনা তা নয়।
প্রত্যাশাও ছিল।
তবে, সময়কালটা সব সময়ই,
অপ্রত্যাশিত।

পার্থিব সুখেরা যখন বিদায় নেয়,
অপার্থিব জগতে ডুবে যেতে খুব বেশি কষ্ট হয় না।
অপার্থিব কাউকেই কখনও বিমুখ করে না।
বিমুখ করতে পারে, পার্থিব সুখেরা।

ছায়ার পেছনে ছুটে ফেরা মানুষের
দুই জগতের মাঝে আনাগোনাতে কোন বাধা নেই।

বিদায় যদি নিতে চাও, একান্তই
তবে তা ই হোক।

বিদায় হে পার্থিব সুখেরা।

Thursday, March 27, 2014

স্বীকারোক্তি


আমার মুখের ভাষা আবোল-তাবোল, ইচ্ছেমত দেয় মনে দোল,
বুকের চাওয়া- সুর বসিয়ে গান বানিয়ে যায়।
আমার কলম-খাতায় অশ্রু ঝরে, কখনোবা ক্রোধের আগুন,
কখনোবা মেতে উঠি রং-রসিকতায়।

কেউবা আমায় পাগল বলে, কেউবা বলে ভণ্ড শুধুই।
কেউবা আবার বুক ভরিয়ে দেয় ভালোবাসায়...
কেউবা আবার অপমানে, প্রতিযোগী আমায় মানে,
কেউবা হতে আমার মতন, বুক বাঁধে আশায়...

আমি সত্যি বলি এতো জটিলতা তো নেই আমার মাঝে,
খুব সাধারণ, সবার মতন আমার জীবনকাল।
আমার কষ্ট পেলে কান্না আসে, সুখের ছোয়ায় হেসে উঠি,
বুক চিড়ে দ্যাখ, আমার দেহের রক্তটাও লাল।

মাঝেমাঝে কেউ কখন ছোঁয়ায় ভেবে বসে,
সামনে রেখে দেয় যে টেনে সীমানারই দাগ।
আবার একই কারণে কেউ কেউ অকারণেই কাছে টানে,
অবলীলায় দেয় দিয়ে যে তার সুখেরই ভাগ।

আমার চাওয়া-পাওয়ার ফারাক আছে,
খুবই সহজ ভাবনা যেন,
সব বলে দেই কথার ভাজে,
দেখাইনা ভণিতা কোন।
ভানকে আমার মিথ্যে লাগে, পাপী মনে হয় নিজেকে...
কষ্ট পেলেও সত্য বলি, যে যাই ভাবে ভাবুক লোকে...

কেউবা আমায় পাগল বলে, কেউবা বলে ভণ্ড শুধুই।
কেউবা আবার বুক ভরিয়ে দেয় ভালোবাসায়...
কেউবা আবার অপমানে, প্রতিযোগী আমায় মানে,
কেউবা হতে আমার মতন, বুক বাঁধে আশায়...

আমার বোঝার অনেক ভুলই আছে,
ভুল বোঝাটা খুবই সোজা।
মিথ্যে হয়তো তোর কাছে,
আমার যেটা সত্য বোঝা।
এই বোঝাবুঝির ব্যবধানে অনেক মানুষ দূরে সরে...
কেউ কেউ ভুল ভাঙ্গিয়ে দিয়ে কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করে...

মাঝেমাঝে কেউ কখন অসাধারণ ভেবে বসে,
সামনে রেখে দেয় যে টেনে সীমানারই দাগ।
আবার একই কারণে কেউ কেউ অকারণেই কাছে টানে,
অবলীলায় দেয় দিয়ে যে তার সুখেরই ভাগ।

Wednesday, March 26, 2014

তবে তা-ই হোক


আমি যখন পুড়ে পুড়ে হচ্ছি খাঁটি,
তুমি ভাব, "ছাই হয়ে যায় আমার দোষে।"

আমি যখন কল্পলোকে বাগান গড়ি,
তুমি ভাব, "মরল ব্যাটা ঘুমের ঘোরেই।"

আমি যখন, ঠিক করেছি, সাধক হব।
তুমি ভাব, "এই বুঝি সে, ঘর হারাল।"

আমি যখন পাতাল খুঁড়ে তুলছি হীরে,
তুমি ভাব, দ্যাখো পাগল ময়লা ঘাটে।

আমি যখন সাগর মথে অমৃত বানাই,
স্থান হয় তার, তোমার ফ্রিজের কোনও কোনায়।

তোমার জগত,
সব মানুষের একই জামা, একই ভাবে ভাবে সবাই।
আমার কাছে সব অপ্রতিম, তুলনাহীন।

আমার জীবন, কল্প বিলাস, তাতেই বাঁচি।
তোমার কাছে, আছে শুধুই বাস্তবতা।
সব জেনেও, তোমার তবু হয় না যে দুর মনের কাঁটা।

বলছি তবে, তোমায় কথা অনেক দামি।
অনেক দামি, তোমার মনের ভাবনাটুকু।
পণ করেছি, ইচ্ছে তোমার, সত্য হবে।

আমিও তবে আজ থেকে-ই,
পরে নিব একই পোশাক, এক ভাবনা।
আর কখনোই, জ্বালাব না, মনের আগুন।

এতেই যদি তোমার মনে শান্তি আসে,
যদিও বা হারিয়ে যাই, চেনা আমি, নেই যে ক্ষতি।
তোমার চাওয়া, অনেক দামী।

Thursday, March 06, 2014

Lonely stride...

Mind is full though the heart is empty
Filling the gap with footsteps...

But the emptiness of the heart,
Like a sentient being crawling and spreading through
even the footsteps.

Or perhaps, the feeling is just scared of loneliness...

Thursday, February 27, 2014

একটা শহর, কিংবা একটা সময়...

আলো ছড়াতে কার্পণ্য করা নিয়ন বাতির দিকে চেয়ে,
কারও সাথে সুক্ষ একটা মিল খুঁজে পাই
সব বাতিই আধারে জ্বলে,
কিন্তু কয়টাকে সুন্দর বলা যায়?
অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে...

প্রচণ্ড চাপের প্রাকৃতিক বাতাসের স্রোতে
ডিজেলের ধোয়া অনেক আগেই ভেসে গেছে
স্মৃতি-কাতর দীর্ঘশ্বাস তাই ঠোটে উষ্ণতা দেয়া আগুনের সাথে
কুণ্ডলী পাকিয়ে মিলিয়ে যায় প্রকৃতির বাতাসে।
অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে...

সেই প্রতিদিনের পাগলের মত আড্ডা,
এখন অনেকটাই অনাকাঙ্ক্ষিত সামাজিকতা রক্ষা।
বার বার করে যাওয়া ঠাট্টাগুলোও এখন খুব তেতো, স্বাদহীন।

মানুষ গুলো,
সময় গুলো,
এখন আর নেই।
অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে...

চায়ের দোকানগুলো সন্ধে নামতেই জন-বিহীন হয়ে যায়,
রাস্তাটাও তারই সাথে তাল মিলায়।

স্মৃতির অলি-গলি-ঘুপচি, দুই বাগানের ফাঁকে অকারণ হেটে বেড়ানো
পুরনো আড্ডার জায়গাগুলো নেড়ে চেড়ে দেখা
কিছু একটা মনে পরতে আনমনে হেসে ওঠা।
গলির দিকে অকারণে চেয়ে থাকা।
আবারও হারিয়ে যাওয়া সেই গলিতে।
অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে...

শুধু অনুভূতি ভরা স্বপ্নগুলো ঠিকই রয়ে যায়...

Monday, February 24, 2014

অপরাধ...

জীবন আমার,
হৃদয় আমার,
ভালোবাসার কষ্টও আমার।
আবেগগুলো দমিয়ে রাখার ছলচাতুরী,
কষ্টগুলো তাচ্ছিল্যে উড়িয়ে দেয়া, নির্দয় সব রসিকতাও,
নিজের সাথে নিজেই করি।

বিরক্তি তোর,
অনেক বিশাল,
তুচ্ছ তো নয় আমার মতো।
স্বার্থপরের মতো ভাবি
নিজের কথাই
ক্ষুদ্র মনের, ভাবনা যতো...

ভাবার ফাকেই
জোরসে ধমক,
চমকে উঠে, থমকে পিছাই।
ভুলটা বোঝার আগেই
আমি অপরাধী
স্বীকার করে,
হার মেনে যাই।

কি প্রয়োজন হারিয়ে ফেলার?
ভয় রয়ে যায় মনের ভেতর।
পুরোনো সেই কথার খেলা
এখন খুবই বিরক্তিকর।

Sunday, February 23, 2014

বন মানুষের গল্প

বাগানের পাশেই জঙ্গল,
দূরত্বটা শুধু বজায় থাকে মাঝের পরিখা গুলোয়।

বাঁদরের দল সেই পরিখার উপরে সাকো বানায়,
সেই সাকোতে বাগান আর জংলা মিলে-মিশে একাকার হয়ে যায়।

ডালপালা ছড়ানো মহীরুহ,
তার পাশের আগাছার চারাগাছ,
সবখানেই বাঁদরের উৎপাত।
শকটের সুতীব্র চিৎকারে,  ভেঙ্গে চুরমার হয় নীরবতা।
তবু, বুনো-ঘ্রাণ মিশে থাকে ধোঁয়াশার কুণ্ডলীতে।

পেছনের প্রতীক্ষা ফেলে রেখে,
ছেলেটি উল্টো হাটে।
শীতল ঠোঁটে উষ্ণতা দেয়,
মুঠোয় ভরা, খুচরো পাথর।

জালের গায়ে বিচিত্র সব ভাবনা আঁকে।
সময় গুলো, কুড়িয়ে পাওয়া।

প্রতীক্ষার ব্যস্ততায়, বাঁদরের দল পথে ফেলে যায়।
ছেলেটি বেশ যত্ন নিয়েই সে সব কুড়িয়ে বেড়ায়।
অখণ্ড অবসরের বুনো জীবনে,
সময় কুড়িয়ে সময় কাটে।

অসময়ে, কিছুটা সময়,
খুচরো...
যেগুলো এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়...
প্রাণপণে সেটুকুই খুঁজে বেড়ানো,
এর চে' বেশি কিছু চাওয়া নেই, নেই কোন প্রত্যাশা।

আর থাকার মাঝে, আছে কিছু স্বপ্ন।
বন মানুষের বুনো স্বপ্ন।
চাইলে,
সেটিতে ভাগ আছে তবে দায় নেই।

কোন একদিন, হয়তো,
কোন অভিযাত্রী খুঁজে পাবে কোন গুহাচিত্র।
পুথি-বদ্ধ, আধা ক্ষয়ে যাওয়া ভাবনা গুলো।

ভাবনাগুলো, আবারও অমরত্বের জানান দেবে।

যদিও শিল্পী হারিয়ে গেছে বিস্মৃতির অতলে,
স্বপ্ন গুলো, ঠিকই থেকে যায়...

Thursday, February 20, 2014

হারিয়ে ফেলা মানুষ গুলো...

হারিয়ে যেতে চাওয়ার মাঝে -
দুঃখ বিলাস, সুক্ষ সুখের ছোঁয়া আছে।
হারিয়ে ফেলার অনুভূতি, কোন ভাবেই এমনটি নয়।

সবার প্রথম, ধাক্কা লাগে, বিস্ময় আর অবিশ্বাসের।
একটু পরে ক্রোধের ঘোরে প্রতিশোধের নেশায় মাতা...
নেশার ঘোরে ক্লান্তি আছে,
শরীর ও মন, দু'টোই ভুগে, বিশ্রাম চায়...

বিশ্রামটা সুখের মত...
ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে শেখায়
স্বার্থপরের মতই তখন, প্রথম ভাবা নিজেকে নিয়েই।

"আমার তবে কি হবে আজ..."
"আমিও যদি হারিয়ে যেতাম!...."
....
এমনই সব ভাবনার পর
"এখন তবে কি করা যায়..."

হারিয়ে যেতে চাওয়ার মাঝে, সুক্ষ সুখের ছোঁয়া আছে।
হারিয়ে ফেলার অনুভূতি, কোন ভাবেই এমনটি নয়।

প্রতি দিনের চলার ফাঁকে, কোথায় যেন তাল কেটে যায়।
একটা সময় সেটাও কাটে,
নতুন করে বাঁচার শুরু।

ফোকলা দাঁতের ফাকার মতন,
একলা হয়ে যাওয়ার পরে, নিজের দিকে চাওয়া যখন,
শুধুই তখন দেখতে পাওয়া।

একা ঘরে, খেতে বসে, সবজীগুলো বাছতে থাকা।
কিংবা কোন এক সন্ধ্যায়, একলা হাটা, একলা থাকা।
অজান্তেই পথ এড়ানো, অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখা..

হারিয়ে যেতে চাওয়ার মাঝে -
দুঃখ বিলাস, সুক্ষ সুখের ছোঁয়া আছে।
হারিয়ে ফেলার অনুভূতি, কোন ভাবেই এমনটি নয়...

মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে,
হারিয়ে যেতে...

Tuesday, February 18, 2014

দেখিস, একদিন তোরাও...

কথা ছিল,
তোরাও আমার সাথেই থাকবি।
উচ্চকিত স্বরে পাঠ করবি মনের অপ্রকাশিত শব্দ-গাথা।

একটু দেরি করে ফেলেছিস
কিংবা,
হয়তো আমার ছিল ভীষণ তাড়া।

তবে,
একদিন তোরাও সব ব্যস্ততার অবসান করে,
জীবন গুছিয়ে নেয়ার পালা শেষ করে,
আসবি অবকাশ যাপনে।

তখন দেখবি,
সেই পথ আগেই কেউ মাড়িয়ে রেখেছে।
তোদের সকল অনুচ্চারিত ভাবনাগুলো,
পুথি-বদ্ধ হয়ে আছে।

এতদিনের পথ চলার ক্লান্তি তোর
কণ্ঠ চেপে রাখবে।
পোকায় কাটা পুথির পাতায়,
নিজেকে খুঁজবি।

শুধু, পোকার পেটের ভুলে যাওয়া অংশ গুলো
জোড়া দেবার ক্ষমতা থাকবে না আমার ঘুণে ধরা কঙ্কালের।

Thursday, February 06, 2014

লব্ধ...

কথা-ঝুরির,
আড়ালে প্রেম নিবেদন।
লুকোচুরি, কথার ভাজে হয়না এখন।।
নীল শাড়ি,
তোকে দেখা হয় না আমার।
চতুর্দিক, সর্ষে ফুল দেখি হাজার বার।।

হাড্ডিসার আমার দেহে চর্বির স্তর জমে
বয়েস বাড়ার, আতঙ্কে মন হয়ে থাকে থমথমে।।
সেই সময়, সন্দেহ আবারও মনে ডানা মেলে,
সেই ভালোলাগাটায়, ডুবেই আছি আমি আজও কি মনের ভুলে।।

তিন চাকার
আশ্রয়ে আলাপন।
দুষ্টুমি করা হয় না আর ইচ্ছে মতন।
টোল-টি তোর,
দেখা হয়ে উঠে না আর।
আকর্ণ বত্রিশ পাঠি দেখি চারিধার।

হাড্ডিসার আমার দেহে চর্বির স্তর জমে
বয়েস বাড়ার, আতঙ্কে মন হয়ে থাকে থমথমে।।
সেই সময়, সন্দেহ আবারও মনে ডানা মেলে,
সেই ভালোলাগাটায়, ডুবেই আছি আমি আজও কি মনের ভুলে।।

গানের ছল,
আরেকবার আসা কাছে তোর।
মজার ফাঁকে, গছিয়ে দেয়া, পুরনো খবর।
প্রত্যাখ্যান,
ঠাট্টা-ছল, থাকে ভালোই মন।
মর খারাপ বিদায় নেবার পর-ক্ষণ।

হাড্ডিসার আমার দেহে চর্বির স্তর জমে
বয়েস বাড়ার, আতঙ্কে মন হয়ে থাকে থমথমে।।
সেই সময়, আরেকবার বোধোদয় হয় আমার,
সেই ভালোলাগাটা, কাটিয়ে ওঠা এক অসম্ভব ব্যাপার।।


Saturday, January 18, 2014

অপেক্ষা অথবা ভালোবাসার গল্প...

মাঝে মাঝেই, একটা ফোন কলের জন্য অপেক্ষা করি
মাঝে মাঝে বলব নাকি সারাক্ষণ...

মথায় হাজার ভাবনারা ঘোরাঘুরি করতেই থাকে সারাক্ষণ
সারা দিনে কাজের পরিমাণও কম নয়
তবুও চোখের কোনের এলাকাটার মতই
আড়ালে থেকেই অস্তিত্ব জানান দেয় সেই অপেক্ষা

মাঝে মাঝেই, একটা ফোন কলের জন্য অপেক্ষা করি
খুব বেশি যে একা কাটাই, সেটিও নয়।
কল আসলে যে খুব বেশি কথা হয় তাও না,
এই সব...
সাধারণ...
দৈনন্দিন...

মাঝে মাঝে, সাথে থাকে নিমন্ত্রণ,
ছুটে যাই।
খুব যে বেশি উল্লাস হয়, সেটিও নয়।
আড্ডা-আলোচনাও হয়,
তবে
খুব বেশি নয়,
মিনিট পনের কি আধ ঘণ্টা...

প্রেমালু ভঙ্গিতে কথা হয় না,
হয় না নেয়া সব রকমের খোজ খবর।
কথা হওয়া, দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থেকে
যেটা হয়, সেটা তর্ক অথবা ঝগড়া, অবশ্যম্ভাবী।

সারাক্ষনই, একটা ফোন কলের জন্য অপেক্ষা করি...