Skip to main content

ছোট্ট বাবুদের, ওয়াইফাই দিয়ে নেট শেয়ারের সহজ পাঠ

কি খবর ছোট্ট বাবুরা? কেমন আছ সবাই?

ল্যাপটপ আর স্মার্ট-ফোনে সমান-তালে নেট ইউজ কর কে কে? স্মার্ট ফোন হলে তো মনে হয় এন্ডয়েড ইউজ করছ, তাই না? নাকি অন্য কিছু? ওয়াইফাই ইউজ কর? বাসায় যখন থাক, তখন মনে হয় না, ল্যাপটপের নেট যদি ওয়াইফাই দিয়ে শেয়ার করে মোবাইলে ইউজ করা যেত তাহলে খুব ভালো হত? সবাই এটার জন্য সাধারতন সফটওয়ার ইউজ করে। ঝামেলাটা অন্যখানে, বেশিরভার সফটওয়্যারেই টাকা চায় ফুল ভার্সনের জন্য, তাই না?

মজা হল, উইন্ডোজে এই ক্যাপাসিটি বিল্ট ইন আছে। কোন টাকা লাগে না। খালি একটু খাটতে হয়। তবে ফ্রি ১০টাকার কিছু পেতে, বাঙ্গালী রাত তনটা থেকে লাইন দেয়। আর তোমরা তো সেই বাঙ্গালী জাতিরই অংশ। আজকে তাই, সেই ফ্রি উপায়টাই শিখাব তোমাদের।



প্রথমেই বলে নেই, এটা করতে কিছুটা ঝামেলা আছে। সব উইন্ডোজ ভার্সনে এটা সাপোর্ট করার কথা না। (তবে, সেই উইন্ডোজে সফটোয়ার দিয়াও এটা করা যাবে না) । সেই সাথে একটা মজার জিনিস ক্লিয়ার করি।
ওয়াইফাই কানেকশন তিনভাবে হয়।

  • এপি মোড (এক্সেস পয়েন্ট মোড) : এটা দুনিয়ার সব মোবাইল, পিসি, কিংবা যে কোন ডিভাইসেই সাপোর্ট করে।
  • এড-হক মোড: এটা সাবাই সাপোর্ট করে না, তবে সব উন্ডোজেই এডহক মোডে নেট শেয়ার করা যায়। মানে শেয়ার দিলেও সব ডিভাইস এতে কানেক্ট হতে পারে না।
  • ইফ্রাস্ট্রাকচার মোড: এটা শুধু মাত্র স্পেশাল কিছু ক্ষেত্রে ইউজ হয়। এতে কানেক্ট করা যায় না।
আমি যেই প্রসেস বলছি, সেটা এপি মোডে তোমার ল্যাপটপের ওয়াইফাই দিয়ে নেট শেয়ার করবে। এপি হল, ওয়ারলেস রাউটারের মোড। তাই কাজটা দুই স্টেপে করতে হবে।

  1. পিসিতে/ল্যাপটপে একটা এপি লাগাতে হবে/বানাতে হবে।
  2. সেই এপিতে পিসির নেট কানেকশন শেয়ার দিতে হবে।

ধরে নিচ্ছি, সবার ল্যাপ্পিতেই এখন উইন্ডোজ সেভেন/এইট চলে। (যদি এখনও কেউ এক্ষপি ইউজ কর, তবুও এটা কাজ করার কথা।)

প্রথমে আমাদের একটা ফাইল বানাতে হবে, টেক্সট ফাইল। তাই নোটপ্যাড ওপেন কর। আর নিচের লাইনগুলো লিখে/কপি-পেস্ট করে ফেল -
netsh wlan set hostednetwork ssid=TEST key=12121212 keyUsage=persistent
netsh wlan set mode=allow
netsh wlan start hostednetwork
pause

এখন, কপিপেস্ট করা এই কোডের দুই জাগায় চেঞ্জ করে ফেল, ssid=TEST আর key=12121212 । এখানে, TEST-এর জায়গাতে যে কোন নাম দিতে পার, সেটাই তোমার ফোনে দেখাবে। আর 121212-এর জায়গাতে যা দিবে সেটাই পাসওয়াড, তবে খালি নাম্বার আর A, B, C, D, E ও F ছাড়া আর কোন ক্যারেকটার ইউজ না করাই ভালো (এগুলোকে বলে, হেক্সাডেসিমেল নাম্বার)। কারন, অনেক সেটেই এর বাইরের পাসওয়ার্ড নিবে না।

এটা সেভ করার সময় একটু ঝামেলা আছে, নোটপ্যাডে সেভ করতে গেলে ডিফাল্ট এটার এক্সটেনশন txt হবে, কিন্তু তুমি এটা সেভ করবে, bat হিসাবে। কিভাবে? প্রথমে ধরি ফাইলটাকে স্টার্ট শেয়ার নেট নামে সেভ করবে ( Start_Share_Net.bat ), তাহলে সেভ এ গেলে যে বক্স আসবে, সেখানে সেভ এজ টাইপে, অল ফাইল সিলেক্ট কর। তারপরে নাম টাইপ কর, "Start_Share_Net.bat"। খেয়াল রেখ, .bat যেন বাদ না পরে।



আরেকটা ফাইল কপি পেস্ট করে সেভ করে ফেল Stop_Share_net.bat হিসাবে,
netsh wlan stop hostednetwork
pause
ফাইল দুইটার কোনটা কি কাজে লাগবে, সেটা নিশ্চয়ই বুঝিয়ে দিতে হবে না।
আমাদের প্রথম ধাপ রেডি। মানে এপি বানানোর ফাইল রেডি। সেভ করা ফাইল দুইটা ডেক্সটপেই রাখতে পার, নাইলে একটা ফোল্ডার করে রাখতে পার। দেখবে, ফাইল দুইটার আইকন ভিন্ন। এখন সেই ফোল্ডারে গিয়ে, স্টার্ট ফাইলটায় রাইট ক্লিক করে রান এজ এডমিনিস্ট্রেটর সিলেক্ট কর।



একটা ওয়ার্নিং বক্স আসতে পারে, ইয়েস সিলেক্ট করে দাও, তখন একটা কালো বক্স আসবে।
সেটার শেষ দিকে, খেয়াল কর। দেখ - The hosted network started. -আছে নাকি। যদি থাকে, তাহলে ক্যাঙ্গারুলেশন।



তোমার এপি চালু হয়ে গেছে। মোবাইলে ওয়াইফাই সার্চ দিলে এখন TEST বা যেই নাম দিয়েছ, সেটা দেখাবে, তুমি কানেক্টও হতে পারবে। কিন্তু কানেক্ট করে লাভ নাই। নেট পাবে না। স্পেসবার চাপ দিলে ঐ কালো উইন্ডোটা বন্ধ হবে যাবে। বন্ধ করে ফেল। কোন সমস্যা নাই।

সেটার জন্য দ্বিতীয় ধাপ।

প্রথমে কন্ট্রোল প্যানেলে যাও। নেটওয়ার্ক শেয়ারিং সেন্টার ওপেন কর।



বামের কলামের দুই কিংবা তিন নম্বর অপশন হল, Change Adapter Settings, যেটাতে ক্লিক করলে, তোমার সব নেটওয়ার্ক কাড/ল্যান কার্ড এবং মোডেম দেখাবে। (উইন্ডোজ এক্সপিতে এই জিনিস ভিন্ন কোথাও থাকে, মনে নাই, একটু কষ্ট করে খুজে নাও) খেয়াল করলে দেখবে, তোমার এখন দুইটা ওয়াইফাই দেখাচ্ছে, একটার নিচে, TEST বা তুমি যেই নাম দিয়েছিলে সেটা দেখাচ্ছে। ধরি সেটার নাম Local Area Connection* 4।



এখানে তোমার ইন্টারনেট কানেকশন যেই কার্ডে, সেটা সিলাক্ট কর। রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ।



সেখানে দেখবে শেয়ারিং আছে, সেটায় ক্লিক কর।



প্রথম অপশনে টিক বসিয়ে দাও (Allow other.... এটাই নেট শেয়ার করার অপশন), আর নিচের লিস্ট থেকে সেই নতুন ওয়্যারলেস কানেকশন (আমার পিসিতে যেটা Local Area Connection* 4 দেখাচ্ছে) সিলেক্ট করে দাও।



এবার ওকে দিয়ে বের হয়ে যাও। আর খোলা উইন্ডো গুলা ক্লোজ করে দাও। তোমার নেট শেয়ারিং শুরু হয়ে গেছে।

দরকার হলে আরেকবার সেই স্টার্ট_শেয়ার_নেট ফাইলে রাইট ক্লিক করে, এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে চালাও। এবার মোবাইলে সেই ওয়াইফাই কানেক্ট করে দেখ নেট পায় নাকি। দরকার হলে একবার নেট ডিসকানেক্ট করে আবার কানেক্ট করে দেখ।

এর পর থেকে যখনই দরকার পরবে, স্টার্ট ফাইল এডমিন হিসাবে চালিয়ে ওয়াইফাই এপি স্টার্ট আর স্টপ ফাইলটা এডমিন হিসাবে চালিয়ে ওয়াইফাই এপি স্টপ করতে পারবে।

আশা করি সবকিছু ঠিকভাবেই হবে। ভালো থেকো বাবুরা। এবারের মত বিদায়।

Comments

Popular posts from this blog

জেনারেশন গ্যাপ

জেনারেশন এ পরিবর্তন আসে অবশ্যম্ভাবী হয়ে। এর কোন ব্যতিক্রম নাই। কেউ চাক বা না চাক এই প্রক্রিয়া চলবেই। ভাল লাগুক বা মন্দ লাগুক কেউ সময় কে থামাতে পারবে না। এর মধ্যে বিতর্ক এসে যায় ভাল পরিবর্তন আর মূল্যবোধের নিম্নগামীতা নিয়ে। কিন্তু আমি সেসব নিয়েও কথা বলছি না। আমি বলছি কারণ যুগে যুগে সব মানুষের অপ্ত বাক্য ‘ দুনিয়াটা রসাতলে গেল ’। আমার দাদা আমার দাদী কে ভীষণ ভালোবাসতেন এবং তার মৃত্যুশোকে সন্ন্যাসী হন। তিনি তখন অবশ্য ছিলেন যুব-সমাজ রসাতলে যাবার অন্যতম উদাহরণ। এখন অবিশ্বাস্য লাগতেই পারে কিন্তু তখন কেউ তাকে ছেড়ে কথা বলেনি। আমার বাবা রবীন্দ্র সঙ্গীত এর ভীষণ ভক্ত ছিল কিন্তু তার সময় এটা ছিল সঙ্গীত এর নামে অশ্লীলতা। আব্বুকেও সিনেমা হলে সিনেমা দেখাতে যাবার জন্য অসংখ্যবার শুনতে হয়েছে যুব-সমাজ রসাতলে গেল। এসব সিনেমা কে এখন আমরা আর্ট পিস এর সম্মান দেই। এখন সবার গা-জ্বালা করা একটা সর্বনাম হল ডিজুস জেনারেশন বা আধুনিক ইয়ো পোলাপান। সবার মত অনুযায়ী তাদের কোন শেকড়ই নাই এবং এরা অন্ধভাবে পশ্চিমা সভ্যতা অনুকরণ ও অনুসরণ করে। কিন্তু সময় যখন সব বদলায় তখন সময় এর সাথে যুদ্ধ করা; আমি ঠিক কিন্...

দুঃসময় বা দুঃস্বপ্নের সময়...

কেন যেন মনে হচ্ছে দুঃস্বপ্ন দেখছি, আর প্রচন্ড অসহায় হয়ে চাচ্ছি, কেউ আমার ঘুমটা এক ঝটকায় ভেঙ্গে দিক। দুঃস্বপ্নের শুরু মায়ের অসুস্থতা দিয়ে। এখান ওখান করে শেষ পর্যন্ত কুর্মিটোলা হাসপাতালে পৌছালাম, ইমারজেন্সি-তে ওদের প্রশ্নের জবাব দিতে দিতেই মেইল এল, আম্মার COVID-19 পজিটিভ। সব ভয় ভুলে, চলে গেলাম রোগি ভরা ওয়ার্ডে, বেডে শুইয়ে দিলাম, ডায়ালাইসিস করে দিলাম। চলে আসার সময়, একবার মনে হল, এর পর আর দেখা হবে না। দু'দিন পর, ICU তে যায়গা পাওয়ায়, একটু নিশ্চিন্তে অফিসের একটা মিটিং এ জয়েন করলাম। মাঝামাঝি সময় ফোন এল, আম্মু সব চিকিৎসার বাইরে চলে গেছে, আম্মুকে নিয়ে আসতে হবে। সেদিন সেপ্টেম্বরের ৩০, ২০২০। ঈদের আর দুদিন বাকি। পরদিন বানানি কবরস্থানে মাটি চাপা দিলাম। সেই সময় প্রচন্ড বৃষ্টি, আগের দিন থেকেই স্বাভাবিকভাবেই চলছিলাম, কিন্তু কেন যেন এখন আর পারলাম না, সকল আত্মসংযমের বাধ ভেঙ্গে চুরে, বুকের ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে কান্না এল।  বৃষ্টির পানি, মুখের মাস্ক, পিপিই সব মিলে সেই চোখের পানি লুকিয়েই ছিল হয়তো, খেয়াল করা হয়নি। বা সেই অবস্থায় ও ছিলাম না।  এর পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন, বাসার সবার। এর মাঝেই বাবার পাতলা পায়খা...

Let the divine hand solve your problems...

We had been under British colonial rulings for 200 years. Then we had been under Pakistani dictatorship. We had fought for establishing our mother language, Bangla as the official language of our country while under Pakistani rulings. The effect of all these is, we have a 12 year schooling on which we have English as our subject. After that, for higher education, most of the universities use English medium. And the ability to speak in English is taken as a measure of how smart a person is. Though I can't find how not speaking own language can be taken as smartness. But that's another story. Despite all these, we don't use English anywhere in our everyday activities. And I think except some rootless junks of the society, deep down ourselves, each of us have an unwillingness to learn the language. As for example, in our university, we have an English medium environment, but that is somehow limited inside the class. And sometimes, even inside the class, we freely use B...