Friday, October 25, 2013

বিরহী কথন

যখন ছোট ছিলাম, টেলিফোনে ক্রস-কানেকশন, রং-নাম্বারে প্রেম ব্যাপারগুলো ডাল-ভাতের মত ছিল। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় কিভাবে যে ক্রস-কানেকশন, রং নাম্বার টেলিফোনের থেকে বাঙ্গালী রোমান্টিক ব্যাপারগুলো হারিয়ে গেছে। তবে সেই সময়ের ছোঁয়া কিছুটা আমিও পেয়েছিলাম ভাবতে ভালোই লাগে।

মেট্রিক পরীক্ষার পর-পরই এমন ভাবে একজনের সাথে টেলিফোনে পরিচয় হয়। পরিচয় প্রণয়ের দিকে যাবার মতো বয়স তখনও হয় নাই। তো, সেটা সুন্দর একটা বন্ধুত্বের দিকে এগিয়েছিল। টেলিফোনে তার সাথে কথা বলতে বেশ বেগ পেতে হত। প্রথমত, তার স্বর; সুন্দর, কিন্তু এতো নিচু স্বরে কথা বলতো যে প্রায় ক্রেডল কানে ভেতর ঢুকিয়ে ফেলতে হত। আর দ্বিতীয়ত, সে ছিল ইংলিশ মিডিয়ামের, তার ভাষাটার অনেক শব্দই তখন আমার কাছে পরিচিত না। তার নামটাও অদ্ভুত ছিল, মারওয়া। আমি কয়েকদিন মারুয়া বলেও খেপিয়েছিলাম। একদিন পরে শুনে নিয়েছিলাম, মারওয়া, আরবের একটা পাহাড়ের নাম। হজ্বে মানুষ এই খানে দৌড়ায়। অর্থ যতদূর মনে পরছে, "স্বচ্ছ"।

তার সাথে দুটি ঘটনা আমার প্রায়ই মনে পরে,

আমার মা, আমি ফোন ধরলে বেশ বিরক্ত হত, কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন আমার দখলে থাকে, তার প্রিয় কাজ ছিল, কেউ ফোন করলে আমি নেই বলা, এবং আমি বাসায় ফিরলে সেই ফোনের কথাটা বেমালুম ভুলে যাওয়া। কিন্তু একদিন আম্মাও আমাকে বলল যে, "তোকে একটা মেয়ে ফোন করেছিল, মারওয়া নামে, তুই ফিরলে ফোন দিতে বলেছে" !!! আমি অধিক শোকে প্রায় পাথর হয়ে গিয়েছিলাম, কারণ, কেউ ফোন দিয়েছে আর সেই নিউজ আমার মা আমাকে দিলো, আবার বলল ফোন ব্যাক করতে, আবার সেটা একটা মেয়ে!!! দু এক মিনিটের কথায় আমার মা-কে পটিয়ে ফেলা বিশাল একটা ব্যাপার।

আর দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে আমাদের দেখা হবার পর। ওর নানা অসুস্থ ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "তোমার নানা কি তোমার নানীর বিরহে অসুস্থ নাকি?" এইটাই হল কাল। আমি তাকে আর কোন ভাবেই "বিরহ" ব্যাপারটা কি সেটা বুঝাতে পারি না... প্রায় দুদিন চেষ্টার পর কাছাকাছি কিছু একটা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। কিন্তু একটা ব্যাপার তখন বেশ বুঝতে পেরেছিলাম যে, ইংরেজি ভাষায় "বিরহ" ব্যাপারটা নাই। হয়তো সভ্যতার উৎকর্ষতায় সেটা হারিয়ে গেছে, হয়তো অন্য কোন কারণে। কাছাকাছি অনেক কিছুই আছে, কিন্তু "বিরহ" শব্দটার যে বিশাল ব্যাপ্তি, সেটা সেই কাছাকাছি সবকিছু জোড়া দিয়েও পূরণ করা সম্ভব না।

আমরা হলাম, পুরনো আর নতুনের মাঝের ট্রানজিশনের প্রজন্ম। আমাদের পুরনো প্রজন্মটি আস্তে আস্তে বিদায় নিচ্ছে আর নতুন একটা প্রজন্ম এখন ঠিক চোখের সামনেই প্রাযুক্তিক উৎকর্ষতায় বাড়ছে। আমাদের নস্টালজিয়ায় ভর করে নাটক সিনেমায় এখনও টেলিফোনে প্রেম দেখাই। বিষয় গুলো অনুভব করার ক্ষমতা শুধু আমাদের প্রজন্ম পর্যন্তই ছিল। একটা সময় ঠিকই এগুলো বিদায় নিবে।

বাঙ্গালী হিসেবে আমারা অনেক ভাগ্যবান। অনেক কিছুই আমরা এখনও হারিয়ে ফেলি নাই। বিরহ ব্যাপারটা এখনও বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে আমাদের মাঝে বেচে আছে। পুরনো প্রজন্ম খুব সযত্নে যা যা আমাদের শপে দিয়ে গিয়েছিল, "বিরহ" তার মাঝে একটি। এখনও আমাদের মাঝে বেচে আছে। পুরনো সেই প্রজন্মের কাছে আমরা পেয়েছি বিরহের কবি। যার জন্মদিন ছিল গত গতকাল। আর পেয়েছিলাম বিরহের শিল্পী যিনি আজ চলে গেলেন। আমারা যেই অনুভূতিগুলো পরের প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হচ্ছি, তারা হাসি মুখে আমাদের সেই ত্রুটি মার্জনা করে, নিজেরাই সেগুলো অবলীলায় পৌঁছে দিয়েছেন নতুনের দুয়ারে, যেমন একটা সময় আমাদের কাছেও পৌঁছে দিয়েছিলেন। মৃত্যু কখনও এমন মানুষদের থামিয়ে দিতে পারে না।

আমার আজ সেই ইংলিশ মিডিয়ামের বন্ধুর কথা বেশ মনে পড়ছে। বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, বন্ধু এখনও যদি "বিরহ" বোঝার ইচ্ছে থাকে, তবে এদের কারও কাছে যাও, শুধু অর্থ-ই না, তারা তোমাকে বিরহের অনুভবটাও অবলীলায় দিয়ে দিতে পারবেন।

ধন্যবাদ জীবনানন্দ দাশ...
ধন্যবাদ মান্না দে...
আপনারা ছিলেন বলেই
এই অর্বাচীন স্বাপ্নিক, "বিরহের" মত একটা অনুভূতির সাথে আরও পরিচিত হতে পেরেছে।

আপনারা আছেন বলেই
আরও শত কোটি বাঙ্গালী "বিরহের" মত বিশাল ব্যাপ্তির অনুভূতি অনুভব করতে পারছে, এবং পারবে।

Saturday, September 21, 2013

রামুর স্মৃতি




পোড়া ঘরগুলো দাড়িয়ে গেছে আবার,
শুকায়-নি ক্ষত পুড়িয়ে দেয়া মনের...
এটাই কি তবে শেষ নাকি সবে শুরু,
এই প্রশ্নটা ঘরপোড়া লোক-জনের।

প্রতিবাদে সব ফেটে পড়েছিল ঠিকই,
প্রতিবাদেই তারা আত্মতৃপ্তি পায়
প্রতিবাদ শেষে ভুলেছেও সব দ্রুত,
প্রতিবাদ শুধু নিষ্ফলা রয়ে যায়।

পুড়েছে রামু, পুড়েছে কিছু পুথি,
ভেঙ্গেছে প্রাচীন নিদর্শনও কিছু।
নিশ্চিন্তে ভুলে গেছি সেই সব কথা,
দানবটা যদিও এখনও ছাড়েনি পিছু।

Sunday, September 15, 2013

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ৪

বাবুরা সবাই কেমন আছ? তোমাদের উপর আমি বেশ ডিজাপয়েন্টেড। তোমরা কেউ কোন ছবি আমাকে দেখালে না... অমি ভেবেছিলাম, আমি আর লিখব না, কিন্তু তারপর মনে পড়ল, আমার লিখা গুলো আগে প্রায় পুরোটাই লিখেছিলাম, ফিল্ম ক্যামেরার কথা ভেবে। কিন্তু এখন আর ফিল্ম ক্যামেরা মিউজিয়ামে ছাড়া কোথাও ইউজ হয় না।

তাই আজ, থেকে স্পেসিফিক-লি ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে লিখব। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে লিখতে গেলে আগে জানতে হবে, ডিজিটাল ক্যামেরা সম্পর্কে। তাই, আজ শুধুমাত্র ক্যামেরা পরিচয় চলবে।

Saturday, August 31, 2013

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ৩

কি খবর বাবুরা? কেমন চলছে ফটোগ্রাফি প্রাকটিস? ফটোগ্রাফির সহজ পাঠের প্রথম পর্বে আমি কিছু বেসিক টার্ম বলেছিলাম।

১. সেনস্টিভিটি বা সেন্সরের ক্ষমতা (আই, এস, ও,)
২. শাটার স্পিড / এক্সপোজার
৩. ফোকাস
৪. শাটার সাইজ / এপার্চার

ফটোগ্রাফির সহজ পাঠের দ্বিতীয় পর্বে আমি ১,২ ও ৩ নিয়ে বলেছিলাম। বাকি থাকল, এপার্চার।

এপার্চার হল, শাটারের গায়ের ছিদ্রের মাপ, যেটা দিয়ে আলো ঢুকে। এটা মাপা হয় উল্টো নিয়মে। এখানে যত বড় নাম্বার ততো ছোট ছিদ্র। শাটার তৈরি হয় ডায়াফ্রাম দিয়ে। আরও ভালো করতে বলতে গেলে আইরিশ টাইপের ডায়াফ্রাম দিয়ে। যা হল ছোট ছোট প্যাঁচানো প্লেটের জোড়া।

Tuesday, August 27, 2013

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ২

বাবুরা কেমন আছ?


গত পোস্টের কথা মনে আছে? ফটোগ্রাফির বেসিক টার্ম গুলা বলেছিলাম। আজ এগুলো দিবে কি হয়, কি করে তা বলব।  কিন্তু, ছোট্ট বাবুদের মনে রাখার সমস্যার কথা আমি জানি। তাই, নতুন একটা ট্যাব খুলে তাতে পুরানা পোস্ট টা ওপেন করে তবেই এই পোস্ট পড়া শুরু কর।

প্রথমে আসি আই,এস,ও,-তে।

Friday, August 23, 2013

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ১

ছোট্ট বাবুরা, কেমন আছ সবাই?

গত পোস্টে কিছু মাপজোক দিয়েছিলাম যেন তোমরা সোশাল মিডিয়াতে মাপ-মতো ছবি এডিট করতে পার। কিন্তু যদি ছবিই না থাকে তাহলে ছবি এডিট করবে কিভাবে?
এবার তাই ছবি তোলা নিয়ে কিছু শিখাব।

প্রথমে বলি ছবি কিভাবে তোলা হয়...
একটা সময় ছিল যখন ছবি তুলতে ফিল্ম ক্যামেরা লাগত। সেই ফিল্মের উপর বিশেষ কিছু কেমিকেলের আস্তর দেয়া থাকত। আলো হচ্ছে ছোট-ছোট কণার সমষ্টি। এই কণাগুলোকে ফোটন বলে। যখন ফোটন এসে এই কেমিকেলের উপর পরত, তখন তা বিক্রিটা করে রং বদলে ফেলত। আর ছবি তৈরি হত। এখন ডিজিটাল ক্যামেরার যুগ। কিন্ত ছবি তোলার মেকলানিজমটা প্রায় একই আছে। শুধু, কেমিকেলের আস্তর দেয়া ফিল্মের জায়গা দখল করেছে সেন্সর।

Monday, August 19, 2013

ছোট্ট বাবুদের সোশাল নেটওয়ার্ক ফটোশপ মাপজোকের সহজ পাঠ

ছোট্ট বাবুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছ? ফেসবুক আর ব্লগ নিয়ে তোমাদের নিশ্চয়ই খুব ব্যস্ত দিন কাটছে। আজকে তাই তোমদের জন্য এই ফেসবুক জাতীয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের একটা সহজ পাঠ নিয়ে এসেছি।

আমরা প্রায় সবাই কোন না কোন সোশাল নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করি। সবচে কমনটা হল ফেসবুক, কিন্তু যারা একটু ব্যতিক্রম থাকতে চায় তারা গুগোল প্লাস, নয়তো টুইটার ইউজ করে। যাদের ব্যান্ডউইথ বেশি, তারা ইউটিউব ইউজ করে আর যারা বুড়ো হবে গেছে, চাকরি-বাকরি ছাড়া কিচ্ছুটি বুঝে না তারা ইউজ করে লিংকড-ইন।

সব সোশাল নেটওয়ার্ক সাইটেই প্রোফাইল বলে একটা জিনিস থাকে, আর প্রায় সবাই চেষ্টা করে তদের প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাতে। এতে তারা বিভিন্ন ছবি দিয়া সাজায়। আর ছবি এডিট করে কোন না কোন টুল দিয়ে, যেমন ফটোশপ।

কিন্তু আমরা প্রায়ই কোন ছবি চরম এডিটিং করার পর সেট করে দেখি, বেশিরভাগ অংশই ঢেকে গেছে, রিসাইজ করলে দেখি, ছবিটা আগের মত আর সুন্দর নাই। কিন্তু যদি আমরা সবাই মাপ-জোক গুলো জানি, তাহলে সেই মাপে ছবি এডিট করতে খুব সুবিধে হয়।

আজকে তাই বিখ্যাত সব সোশাল নেটওয়ার্কের প্রোফাইলের মাপজোকের একটা ইনফো-গ্রাফ দিচ্ছি।

এই মাপজোকের ইনফোগ্রফটি তৈরি করেছে Ashleighlay, আর এটা আমি পেয়েছি, তার "Social Media Spec Guide" পোস্ট থেকে।

Social Media Spec Guide
by ashleighlay.
Explore more infographics like this one on the web's largest information design community - Visually.







Thursday, May 30, 2013

How a love-story starts...

There was a time when I was popular among my friends for Astrology. Well, to be exact, I was a palmist. Most of the time, what I said depended on my mental situation. And what can say,
I was really good when I was bad.

My wife used to practice shooting. Not in a professional way. Most of the time around our university, a person with an air-gun and a board pasted with balloons balls can be found. She used to shoot at those balloons. I also used to do some shooting with her. Eventually I got better. I started shooting at Cigarettes and then when I got very good, I started shooting Match-Sticks. And this inflamed anger in my wife. She was getting good. Now, I miss 7 out of 10. She miss 2/3 out of 10 with the match-sticks. And it gets better when she's mad. Well what can I say,
She was really good when She is bad.

Maybe that's how a love-story starts...

Sunday, April 07, 2013

The brother I never had...

In our country, 40 is the age when the youth is gone. 40 is the age when you finally start to look old and weary. It's been 42 years Bangladesh got her freedom and now it seems she has grown... Old... and weary... 
It was a bit dark and crowded. The whole place was shadowy as the sky was covered by some big trees. The kerosene lamp was not helping much to improve the situation. But, it was not a least bit scary though. Its was more like a cheerful environment. Some of the people from online world gathered there just for a very informal meeting to plan for a dinner party. 

That's where I first saw him. 

In the shadow of the trees, somehow he managed to sit somewhere with enough light. And he was shining brightly. Not just because of the light, he was shining with Life. A very thin line of silver hair was expressing the fact that, the ageing had fought well but lost. It couldn't touch his mind and youthfulness. He was shining with youthfulness and light. His face looked very familiar and his smile even more. My wife asked me, "Who is he?" Suddenly I figured out and answered her, "He is Biplob Da". 

Anyway, we were among the people mostly unknown to us. I could find only two person I know. One of them introduced us with him. He just acknowledged our presence and went back to his discussion. We managed to seat near him and started small chit-chat. That day was a special day.

After few days, we met again. Remember the dinner party? At there. We were the second batch to arrive, he was the first. So we had more time to get to know each other. Yes, being the host for the party he was busy. Still managed to get some time to talk to us in privet. We lived in the same area, just few blocks apart. He invited us there. After that party few days passed. He gave us knock online. We had group chat. And after few days of chatting, we decided to meet at his place. And that was the start.

We started to meet regularly. Then one day we heard he is getting married. We started to know Shondha Didi. It seemed like, she was the missing piece of the equation. And thus it started. Everyday, we used to meed and chat. The subjects varied from our daily life to existence of alien lifeforms, from politics to the latest movies. We became more of a family. It felt like he was the Big brother that I never had. He seemed to understand it. Maybe he felt the same way. Whenever I needed, I went to him for help, advice, consolation, anything I feel like. He also discussed different matters with me, us whenever he needed. He took care of us like a family and he and didi was part of our family. 

I never felt that, we met form our online activities. In fact, he never had that much activity online. He used to say, he was not a non-believer, he just hated the war criminals and the people sympathetic to them. He just didn't like those who were against our freedom during the Liberation War in 1971. That was his first identity. He said, not atheism, he was online for finding out those people who were sympathetic to the war-criminals. He called himself a "Chagu Fighter". He told us to keep fighting those Jamat-Shibir and similar groups.  He was an atheist but hardly wrote anything on it. I was a blogger in Nagorik blog. He was also (and a very old one). But, he had only 2 post there. Both were on politics. On other blogs, the number was a little more than 2. But, mostly against Jamat-Shibir and similar groups. 

He also believed in super naturals. We were puzzled by the fact. But he said, he was not anti-religious. He believed, there might be some power beyond our comprehension. But he denied the current sketch of that power as GOD or Allah or anything else in the known religions.

For the last few days, I have been watching the Facebook, Blogs were full of the news & discussions on the Arrest of the Bloggers. Everyone wrote something about them. Some wrote about Russel Parvez, Some about Subrata Shuvo. But what about my Brother? Well, what to say about him? Has he done anything? He don't write that much. In fact, he is not even a proper blogger. All he did was being against the Jamat-Shibir and similar groups. That's the reason now Police is saying that he has been writing against Islam and their Prophet, criticizing him for 5-6 years!!! That's the reason he was arrested!!! He was a nobody and nobody cares about a nobody. So, the police can easily do the eye-wash by arresting him.

His Birthday was on 5th April, 1971. Yes, he was born with this country. He was very young and youthful. A heart patient and has Gastric problems, he lived on medications, still looked full of life. But Now, he is very sick. His eyes are clouded, his hands legs looks like they are filled with water.  Now he looks old. He looks like he has lost the fight. And for the past few days, somehow, it feels like this country is also very tired and sick, as if she also has lost the fight. 

I'm avoiding the mirror theses days. I don't have the courage even to face my own-self. I also lost the fight. My loved ones snatched away by the government to save their own ass. 

And in this process, I lost a friend, lost a mentor, and lost a brother whom I never had...

Monday, February 18, 2013

থাবা, যে স্মৃতির দায় থেকে যায়....


গতকাল সন্ধ্যায় ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। ওরা ডেকে পাঠিয়েছিল, থাবার ব্যাপারে স্টেটমেন্ট দিতে। ভাবছিলাম, কি স্টেটমেন্ট দিব? কি বলব? লোকটার সম্পর্কে এরা কিছুই জানে না, চেনে না। এরা কি করে বুঝবে উনি কেমন ছিলেন? কিভাবে উনার সম্পর্কে এরা ধারনা নিবে? ফেসবুক ঘেটে, আমাদের কথা শুনে? অন্ধের হাতি দেখার মত করে?

উনার সাথে যখন প্রথম পরিচয় হয়, একটা দাওয়াতে। তখন দেখেছিলাম গোঁফ আছে, একটু বয়স্ক, দেখাচ্ছে। কাউকেই চিনি না, সবার সাথেই আগ্রহী হয়ে পরিচিত হচ্ছিলাম। আমরা নতুন কেউ সে ভাবটা উনা মধ্যে ছিল না, তাই এই কথা, সেই কথা, এভাবেই পরিচয়। ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটাও মোবাইল দিয়ে সাথে সাথেই দিলেন। এরপর আবার অন্য একটা দাওয়াতে দেখা। সেখানে আরও অনেক কথা....

এরপর দেখা সাক্ষাত শুরু হল মিরপুরেই। উনার মাধ্যমেই পরিচয় হল বিপ্লব দা'র সাথে। শুরু হল নিয়মিত আড্ডা। আপন করে নেবার প্রচণ্ড ক্ষমতা থেকেই সবাইকে আপন করে নিতেন। হাজার বার বিভিন্নভাবে ক্ষেপাতে চেয়েছি, গালাগাল করেছি উদভ্রান্ত জীবন যাপন নিয়ে, কিন্তু একতা সময় হাল ছেড়ে দিয়েছি তাকে রাগাতে না পেরে।

জীবন সম্পর্কে ছিলেন প্রচণ্ড উদাসীন, সেই কারণেই কাজ-কর্ম নিয়েও তেমন ভাবতেন না। যতক্ষণ না একবারে ঠেকে যাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত কাজের নামও নিতেন না। বলতেন, "চলছে তো... দরকার কি?... আমার দরকার নাই তো..."।

রণদীপম-দার সাথে পরিচয় থাবার মাধ্যমে। সামনাসামনি দেখা সম্ভবত এক দিনেই। এর পর যতবার দেখা হয়েছে জ্বালিয়ে মেরেছে, তারা দুইজনই এমন সব বিষয় নিয়ে এতো গভীর আলোচনায় ডুবে যেতেন, আমাদের মাথার উপর দিবে যে। রণ-দা এমনিতে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু থাবাকে পেলেই হয়েছে... আমরাও জ্বালাতাম থাবাকে, আপনে এত কিছু কেমনে জানেন। আর খেপাতাম, এতো হিস্ট্রির শখ, আপনে তো মিয়া সেভিং ক্রিম-ব্রাশ ইউজ করতে পারেন না।

মনে আছে, চুল-দাড়ি না কেটে পুরো জটাধারী হয়ে যাবার উপক্রম করেছিলেন। একদিন বাসায় ডাকলাম, পটিয়ে পাটিয়ে চুল-দাড়ি সব কাটিয়ে দিলাম। শেভ করতে আমি ক্রিম ইউজ করি, উনি ব্রাশ-ক্রিম ইউজ করতে পারেন না দেখে নিজেই ব্রাশ করে দিয়েছিলাম। আমাকে উনি খেপাচ্ছিলেন, তুমিই শেষ পর্যন্ত নাপিত হয়ে গেলে? গোসল করার পর একটা ফ্রেস গেঞ্জি পরানো পর মানুষটাকে চিনতে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। চুল দাড়ি কাটার পর, থাবাকে নিয়ে রণ-দা'র একটা মন্তব্য নিয়ে প্রায়ই থাবা, আমরা হাসাহাসি করতাম। "এমন একটা ভদ্রলোককে তো আমি থাবা বইলা অপমান করতে পারি না..."

আমার রান্না গরুর মাংস খুব পছন্দ করতেন। বারবার আমার বউকে বলতেন "পল্লব গরু রাঁধলেই আমাকে ডাকবি"। মাঝে মাঝে বাসায় রান্না থাকতো না দেখে শুধু কফি-বিস্কিট খেয়েই পার করে দিতেন ২ এক দিন। তাও রান্না করতেন না। এটা নিয়ে প্রচণ্ড গালাগাল করতাম। কোন রকম সবজীই খেতেন না। মজা করে বলতেন, "যেটা ছাগলে খায় আমি খাব!!!" এমন কি ভেজিটেবল খিচুড়ি থেকেও কুচি-কুচি করা সবজী বেছে প্লেটের এক পাশে জমাতে থাকতেন।

নাগরিকে আমারদের উৎসাহতেই লিখা শুরু করেছিলেন। পরে একটা লিখা পোস্টের পর প্রচণ্ড সমালোচনা হয়। এরপর চিটাগাং-এর আজাদি পত্রিকায় উনাকে নিয়ে একটা রিপোর্ট হয়, যে উনি উস্কানি মূলক লিখা দিচ্ছেন। এত মানুষ, এত ব্লগ থাকতে  কেন এই নিউজটাই পত্রিকায় গেল সেটা আজও জানি না। তবে তখন রিকোয়েস্ট করি, লিখাটা নামান। উনি নিজে গিয়ে মুছে দিয়েছিলেন লিখা গুলো। তারপর থেকে উনি আর ব্লগে কিছু লিখেন নাই। ফেসবুকে লিখতেন। আর তার মূল বিষয় ছিল, ছাগু ফাইট।

কিছুদিন ধরে তাও বন্ধ ছিল। ছবি তোলার শখ ছিল প্রচণ্ড, আই-ফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি করতেন। গত দু'এক মাস ধরে শুধু  ফটোগ্রাফি শেয়ারই দিয়ে যাচ্ছিলেন। ফটোগ্রাফার-কে উনি বলতেন ফটো-গফুর, নিজেকে থাবা-গফুর। আমরাও যা দেখতাম সেটা নিয়েই বলতাম, "ঐ যে থাবা, থাবা, থাবা... এখন একটা থাবা তুলেন..." উনি হাসতেন।

এমন আরও হাজার খুঁটিনাটি হাজার কথা জমে আছে। কিছুদিন আগে উনি একটা কাজ পেয়েছিলেন। রাতে জেগে জেগে ফেসবুকের পাশাপাশি ঐ কাজটাও করতেন। ১৫ তারিখ সাড়ে ৪টার দিকে ফোন দিলেন,

-আসবি?
কোথায় জিজ্ঞাসা করতে জানালেন, নতুন রাস্তায় যাবেন। প্রশ্ন করলাম শাহবাগ যাবেন না? উনি বললেন কাজ করতে হবে, শাহবাগ গেলে আর করা হবে না। আমরা দু-একবার ঝুলোঝুলি করে রওনা দিয়ে দিলাম।

মনে মনে গালি দিচ্ছিলাম, কেন আজকেই তাকে কাজ করতে হবে। কেউ না থাকলে এমনিতেই জমে না, তাই শাহবাগেও মন টিকলো না। থাবাও নেই যে গল্প করব, ঠিক করলাম, বিপ্লব-দার বাসা হয়ে মিরপুর যাই। ও খান থেকে বের হবার আগ মুহূর্তে গালিব বিপ্লব-দাকে ফোন দিল। তাপর থেকে সবকিছুই কেমন যেন ঝাপসা, ঘোলাটে।

এটাও ভেবেছি, যে ঐ দিন যদি নতুন রাস্তা যেতাম তাহলে হয়তো আমরাও...
আবার ভেবেছি, যদি যেতাম তাহলে হয়তো লোকটা বেচে যেত... কিন্তু ভাবনা গুলোও প্রচণ্ড ঝাপসা, ঘোলাটে।

টিভি দেখছি, পেপার দেখছি, ফেসবুক দেখছি, ব্লগ দেখছি। মাঝেমাঝেই একটা ছবি টিভিতে দেখাচ্ছিল, থাবা একটা টেবিলে, সাদা গেঞ্জি পরা, হাসছে। প্রতিবার মনে হচ্ছিল ঐ তো থাবা! মরে নাই!!  সব প্রোপাগান্ডা!! এক্ষুনি কথা বলে উঠবে!!!

মানুষের সাক্ষাতকার দেখছি, বক্তব্য দেখছি। ব্লগে, ফেসবুকে, টিভিতে...
আমরা উনাকে থাবা বলেই ডাকতাম। এমনকি রণ-দা সহ। শুধু তার ভাই দুটো ডাকতো শুভ ভাই। রাজীব নামটা খুব অচেনা লাগে। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, ওরা অন্য কারও কথা বলছে।

হয়তো আসলেই ওরা অন্য কারও কথা বলছে। ওদের কাছে রাজীব ভাই একজন ফেলো ব্লগার/ফেসবুকার, দু একদিন কথা হয়েছে। আমাদের কাছে উনি থাবা, ফ্যামিলি। ওদের কথা শুনে প্রচন্ড কষ্ট হয়। ওরা কোনদিন অনুভব করবে না, আমরা কোন কষ্ট নিয়ে লিখছি, আমরা কেন সাবার মত সাথে সাথেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ছি না। কোন কষ্টের ধাক্কা সামলাতে আমরা সবাই হঠাৎ করেই নিশ্চুপ হয়ে গেছি।


থাবাকে নিয়ে রণ-দা'র একটা লিখা পড়লাম। চোখ ভিজে যায়...

আর কোন দিন বিপ্লবদার বাসায় গিয়ে দিদিকে নালিশ করতে পারবো না, দিদি, রান্না ঘরে, থাবা সব ধাবা দিয়ে খেয়ে নিচ্ছে..
আর কোন দিন রণ-দা'র কথার সূত্র ধরে তাকে ক্ষেপাতে পারব না...
আর কোন দিন তার কলা খাওয়া নিয়ে কলা বাবা বলে ক্ষেপাতে পারব না...
আর কোন দিন তাকে বলতে পারবনা আপনে একটা খাটাশ...
আর কোন দিন বলতে পারব না "ধুর মিয়া, আপনে তো ব্রাশই ইউজ করেন নাই, আপনে আমার চে বড় কেমনে???"
আর কোনদিন কোন কিছু দেখেই চেঁচিয়ে উঠতে পারব না, "থাবা... ঐ যে থাবা..., থাবা তুলেন...."

বেচে থাকলে হয়তো জীবনের নিয়মে একটা সময় দুরে চলে যেতাম, ভুলে যেতাম
আর কোন দিন লোকটাকে ভুলতেও পারব না...