Skip to main content

Posts

Showing posts from 2012

কোরবানি ও ঈদ...

আমি যখন অনেক ছোট, হঠাৎ একদিন স্কুল থেকে ফিরে দেখলাম, বাসায় ঢোকার পথে একটা বিশাল ভয়াল দর্শন গরু দাড়িয়ে আছে। তাও আবার গোল্ডেন-ব্রাউন আর কালোর ডোরাকাটা। আর বাড়ির কিছু লোক উৎসাহ নিয়ে ওটা ঘিরে দড়িয়ে আছে। ভয়ে আমি বাসায় ঢুকতে পারছি না। কেউ একজন অভয় দিল, "কিচ্ছু বলবে না, আসো..." আমি যেই ঢুকতে গেলাম, গরুটা গলা বাড়িয়ে দিল আমার দিকে। আমি চিৎকার দিয়ে তিন লাফে গেটের বাইরে। তখন কারো দয়া হল, আমাকে কোলে নিয়ে পার  করে দিতে এল। আবারও একই ঘটনা। কিন্তু সে মোটেও ভয় না পায়ে আমাকে বরং গরুর দিকে এগিয়ে দিচ্ছে, আমি ভায়ে তার গলা জড়িয়ে ধরে আছি। সে বলল, "আদর করে দাও"। আমি যতোই ভয় পাই, তিনি নাছোড়বান্দা। শেষে আমার হাত টেনে নিয়ে গরুর গলার তলে বুলিয়ে দিলেন। ওমা, এ দেখি কিছুই বলে না, বরং আরামে চোখ বুজে ফেলল!!! সেই শুরু, তারপর আমি প্রতিদিন খেলা বাদ দিয়ে আগে আগে বাসায় পৌছে সেই গরুর সাথেই সময় কাটাতাম। ১৫-২০ দিন আগেই কেনা হয়েছিল গরুটা। যাই হোক, কোরবানির ঈদ এল, আমার কান্না আর চিৎকারে কর্নপাত না করে সেটাকে কোরবানি দেয়া হল। সেই দিন আব্বা বেশ ধমক দিয়ে আমাকে বাধ্য করলে...

কিছু জরুরী বিষয়ে ফালতু কথা...

যখন ছোট ছিলাম, একটা কথা প্রায়ই শুনতাম, "মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই"। ইদানীং দেখছি, কিছু মানুষ আরেকটা কথা চালু করছে "নাস্তিক নাস্তিক ভাই ভাই"। কেমন যেন সিমিলার টাইপ কথা !!! আমার গলা আজন্ম নিচু ছিল। মাঝে মধ্যে তবু বড় গলায় কয়েকটা কথা বলে ফেলেছি। কিছু মানুষের সেই আবোল-তাবোল কথা ভালো লেগে গেছে, এখন, তাদের সাথে কথাবার্তা চলে। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখি, আমার ফ্রেন্ড-লিস্টে পুরা ৫০১ জন মানুষ!!! এদের অনেকের নামেই দেখি "Atheist", "নাস্তিক" ইত্যাদি অনুসর্গ-উপসর্গ যোগ করা। তারা আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন, এটা জেনে যে আমি ধর্মে বিশ্বাস করি না। ভাই বলেও ডাকেন। কেমন যেন "নাস্তিক নাস্তিক ভাই ভাই" টাইপ লাগে। অনেকে আবার ঘোষণা দিয়ে মুসলমান থেকে নাস্তিক হয়ে যান এবং তা প্রমাণ করতে, ঘোষণা দিয়ে শুকরের মাংস খান। তাদের বক্তব্য, সৃষ্টির আদিযুগ হতে, মানুষকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করার জন্যই ধর্মের প্রবর্তন করা হয়েছে। ব্যাপারটা নিয়ে আমার নিজস্ব একটা দৃষ্টিভঙ্গি আছে, কিন্তু সেটা পরের বিষয়। তারচে কাছের বিষয় হল, বক্তব্যটির প্রথমাংশ- "...

প্রতিবাদ সমাবেশ

গত ১ সপ্তাহ ধরেই চলছে জ্বালাতন। নাকি ১ মাস?... প্রতিদিন দুবেলা এস,এম,এস, আর ফেসবুকে পোস্টিং, মেইল, ইত্যাদি, ইত্যাদি... বিরক্ত হয়ে ভাবি, কোন দুঃখে যে নাম লিখেছিলাম খাতায়! যাবো না সেটা আগে থেকেই জানি, আমার অতো ফালতু সময় নেই, অফিস আছে। কিন্তু ওরা তো ছাড়ছেই না। যেতে অবশ্য হবে ঐ এলাকায়, অফিসটাও যে কেন এই এলাকাতেই পড়ল সেটাই ভাবছি। দুত্তরি লোডশেডিংও আর সময় পেল না, সেই সকাল থেকেই চলছে। জেনারেটরটাও হাল ছেড়ে দিয়ে বিকল। তাও যদি একটু শান্তি থাকতো। পাশেই মাঠে চলছে মাইকিং। আমার প্রচণ্ড শব্দে মাথা ধরে আছে। আচ্ছা... ওদের ব্যাটারি শেষ হয় না? তারস্বরে একজন সেই সকাল থেকেই চেঁচাচ্ছে "আসেন ভাইয়েরা, আমাদের এই প্রতিবাদে দলে দলে যোগ দিন... যোগ দিন দলে দলে... সফল করুন...."। গলা ব্যথা করে না?

মহান হবার ফর্মুলা আবিষ্কারের গল্প... (পঞ্চম পর্ব - ভিন্ন জগত)

প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব বহুদিন ধরেই ঠিকভাবে কলম ধরা হচ্ছে না। ১৫" জগতের কির্বোডটাকে আমি এখনও ঠিক আত্মস্থ করে উঠতে পারিনি, তাই আমার লিখার ক্ষেত্রে কলমই ভরসা। কিন্তু নতুন একটা জীবনে সারভাইবালের সংগ্রামে ব্যস্ততা এতোই বেড়ে গিয়েছে যে কাগজ, কলম এবং আমি; এই তিনটাকে গুছিয়ে একসাথে করা হয়ে উঠছে না। এরই মধ্যে হয়েছে বেশ কিছু পট পরিবর্তন। পদ্মা, মেঘনায় বয়ে গিয়েছে বহুদূর আর ফেসবুকে পার হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ স্ট্যটাস আর কমেন্ট। তাই আমিও মাঝের কিছু ক্যচাল বদ দিয়ে দুই ধাপ সামনে লাফ দিলাম। যদি আবার সময় সুযোগ হয় স্মৃতিচারণের তখন দেখা যাবে ওগুলো। বিয়ে করে ফেলেছি মার্চের দুই, কেউ জানে না। নতুন বাসায় উঠেছি মার্চের চার। নতুন জীবনের শুরুও সেদিন থেকেই। এক রুমের ছোট্ট একটা সাবলেট বাসা। সম্বল, দু'-তিন সেট জামা কাপড়, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল। এছাড়া আর কিচ্ছু নেই। সবে বেতন পেয়েছি। অর্ধেকটা বাড়িভাড়া আর বাকিটায় মাস খরচা ছাড়াও আরও বেশ কিছু খরচা। লেপ-তোষক, কাঁথা-বালিশ থেকে শুরু করে সাবান-শ্যাম্পু, টুথপেস্ট-টুথব্রাশ সব কিছু এটা দিয়েই কভার করতে হবে। জমানো টাকাও নেই। একটা ...

মহান হবার ফর্মুলা আবিষ্কারের গল্প... (দ্বিতীয় পর্ব - সেনাজীবন)

প্রথম পর্বের পর ~~~ চারিদিকেই কেমন যেন যুদ্ধের সাজ সাজ রব। ১৫ ইঞ্চির দুনিয়ার সবাই নাড়ে-চড়ে বসছে। নতুন একটা পেজ চালু হচ্ছে। ভাইয়া তাতে সমর্থন দিয়েছেন। ভাইয়ার সমর্থনের কারণে এ পেজের জনপ্রিয়তা হুহু করে বাড়ছে, জোয়ারের স্রোতের মতন। এই পেজটা হবে ছাগুদের উপর একটা চরম ব্লো। "পারলে আরেকটা লেইখ্যা দেখা" চ্যালেঞ্জের জবাব দিতেই এই পেজ। আমার প্রেমিকার উৎসাহ তখন তুঙ্গে। ওর কথা হল, এখন আর কাঁচুমাচু করে লাভ নাই। ভাইয়া বলছে, সবারই উচিৎ নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দেয়া। আসলেই তো তাই হওয়া উচিৎ, তাই না? ধার্মিক পাবলিক যেই পরিমাণে আক্রমণাত্মক, কিছু হলেই কল্লা নামাইতে চলে আসে, আমাদেরও উচিৎ অফেন্সে যাওয়া। কাপুরুষ হয়ে একশ দিন বাচার চেয়ে বাঘের মত একদিন বাচা উচিৎ। ভাইয়ের ডাকে, আমাদের বিপ্লবী চেতনা জেগে উঠছে, রক্ত গরম করা সব স্ট্যাটাস ছাড়ছেন ভাইয়া।

মহান হবার ফর্মুলা আবিষ্কারের গল্প... (প্রথম পর্ব: নতুন পৃথিবী)

আমার দিন-কাল ভালই কাটছিল। দুপুর পর্যন্ত ক্লাস, বিকেল পর্যন্ত অফিস, সন্ধ্যা পর্যন্ত ডেটিং, রাত পর্যন্ত আড্ডা আর মাঝ-রাত পর্যন্ত মুঠোফোনে প্রেমালাপ। পৃথিবীর সকল সমস্যা এবং তার সমাধান, এই ছকের মধ্যেই বেধে ফেলা যেত। ফোনে প্রেমালাপ আর কত সময়ই করা যায়! ভালবাসি... খুব ভালবাসি... এই প্রকার আলাপচারীতার দৈর্ঘ্য কখনোই ৩০ মিনিট ছাড়িয়ে যায় না। বাকিটা সময় দৈনন্দিন হাড়ি-পাতিলের সংঘর্ষের শব্দাবলীই তখন হয়ে ওঠে প্রেম! হাড়ি-কড়াইয়ের এই টুংটাং শব্দের মাঝেই শুনতে পেলাম, আমার প্রেমিকা নাকি ব্লগ পড়া ধরেছে। যাই হোক, এটাকে কখনোই আমার সেই ব্যক্তিগত রুটিনের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয় নি, তাই এটা নিয়ে ভাবার কথাও ভাবতে হয়নি কখনও। তবুও প্রেমিকার কাছে ক্রেডিট নেবার লোভটা ছাড়ার মত মহামানবীয় গুন আমার নেই। ফলাফল, প্রেমিকার বিস্ময় মাখা সোৎসাহের উক্তি - " আয়হায়!!!! তুমি ব্লগ লিখ!!!!!!!!!! দাও তো লিংকটা দাও তো...." " এহ! হে! তোমার তো ম্যাক্সিমামই ইংলিশ ...." " ব্লগ গুলাতে কেউ ইংলিশ লেখা পড়ে না..... " " তুমি তো ভালোই লিখ, বাংলায় লিখ না.... " " ব্লগে একট...

উত্তপ্ত মস্তিষ্কের বিকৃত চিন্তা ও ওর্বের ক্ষোভ দমন

আগে আমাকে আমার অনেক আস্তিক বন্ধু মাঝে মাঝেই প্রশ্ন করত, আমি কেন নাস্তিক। উত্তরে আমি সব সময়ই পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিতাম, তুই কেন আস্তিক। প্রতিবারই অদের উত্তর ঘুরে ফিরে এক জায়গায় এসে দাঁড়াত, "আমার বিশ্বাস স্রষ্টা আছেন।", তখন আমিও হাসতে হাসতে বলতাম, "আমারও বিশ্বাস কেউ নেই"। কেউ কেউ এখানেই থেমে যেত, কারও উৎসাহ আরও বেশি ছিল, তারা জানতে চাইত, "কেন আমার বিশ্বাস কেউ নাই" অথবা, "কেন আমার এমন বিশ্বাস হল"। আমি তখন আবার পালটা প্রশ্ন ছুড়তাম, "তোর/তোদের কেন বিশ্বাস কেউ আছে"। অদের উত্তর হত, "জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এসে তাদের মাঝে এই উপলব্ধি হয়েছে, যে সত্যিই কেউ আছে", অথবা, "এই মহাবিশ্ব, এই বিশাল/সুবিশাল জগৎ, এটা চলছে, এর ভাঙ্গা-গড়া, এসব দেখে তাদের উপলব্ধি হয়েছে, যে কেউ না থাকলে এটা চলত না বা সৃষ্টি হত না"। তখন আমি আবার জবাব দিতাম "জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমার উপলব্ধি হয়েছে, যে সত্যিই কেউ নাই" অথবা, "এই মহাবিশ্ব, এই বিশাল/সুবিশাল জগৎ, এটা চলছে, এর ভাঙ্গা-গড়া, এসব দেখে আমার উপলব্ধি হয়েছে যে, এর জন্য কারও প্...

পরমকরুনাময় এবং অসীম দয়ালু চিপাল্লা এবং আমার অবিশ্বাসী পাপী মন

আমার যে ফেসবুক একাউন্ট আছে, একদিন দেখি তার ওয়ালে বিশাল এক পোস্ট শেয়ার দিয়েছে কে বা কাহারা। রোজ এই পোস্ট পার হয়ে মানুষের স্ট্যাটাস দেখতে হয়, এমনকি মানুষের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করারও উপায় থাকল না। ফ্রেন্ড-লিস্টের সবাই দেখলাম ব্যাপারটা সম্পর্কে উদাসীন, এত বড় বড় পোস্ট, তা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। এই টাইপ পোস্ট থাকার কারণে মানুষের স্ট্যাটাস, খবর পেতে সমস্যা হচ্ছিল, কোন মূমুর্ষ রোগীর জন্য রক্তের পোস্ট বা বন্ধুবান্ধবের জরুরি খবর দেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরেছিল। কিন্তু একটা সময়ে আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, মানুষজন বেশ অভ্যস্ত হয়ে পরেছে, তারা তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পোস্টগুলাকে গ্রহণ করে নিয়েছে। আরও আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে, পোস্টগুলা নিয়ে বাচ্চারা বিভিন্ন কমেন্ট আর এক্টিভিজম করতে শুরু করেছে, এবং এভাবেই পোস্ট এবং পোস্ট-দাতা (ধরি তার নাম চিপ) আমার জগতে ক্রমশ একটা চরিত্রে পরিণত হল। ঠিক করলাম পোস্টগুলা সরাতে হবে, এভাবে চলতে দেয়া যায় না। তো এসব ভেবে চিন্তে স্বপ্রনোদিত হয়েই শুরু করলাম আলোচনা। ব্লগ ফেসবুকের সিনিয়র, যারা এই পোস্টগুলাকে এই শেয়ার করার জন্য দায়ী এবং লাভ...

অর্বাচীনের দিনপঞ্জি...

অনেকদিন ধরেই ভাবছি, কি করা যায়, কি লিখা যায়। সহস্র চিন্তা মাথায় ভর করলে কোনটাই প্রকাশ করা হয়ে উঠে না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে একটা অস্থিরতা কাজ করছে। কিছু একটা করা খুব খুব খুব প্রয়োজন, এখনই সময়। কিন্তু কিসের সময়? অনেক কিছুই ঘটছে আশেপাশে। কোনটা রেখে কোনটা ধরি। একটা নদী তিতাস, তার গল্প, নাকি এক স্বামীর গল্প যে তার স্ত্রীর হাত কেটে দিয়েছে। নাকি কিছু ছাগলের স্বাধীনতা নিয়ে মাৎকার, নাকি টিপাই-মুখ... সেইসাথে একটা ভাবনা কাজ করছে, আমি, আমার জীবন, এটি কি এতোই বিশাল যে ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে ভাবে? আসলে তো আমার জগত, গণ্ডী অনেক ছোট। এই ছোট ব্যাপ্তিতে যে লক্ষ-কোটি ঘটনা, সমস্যা, তা নিয়েই তো ভাবার সময় নেই। খামোখা দু'টা বড় বড় বিষয় নিয়ে বড় বড় কথা বলে, বাহবা কামিয়ে কি লাভ? কি লাভ নিজেকে মিথ্যা দিয়ে সাজিয়ে? তারচে এই ভালো আমি আমার ছোট জগত নিয়ে থাকি, এর গল্পই বলি। আমার জীবনের গল্পগুলো ছোট-ছোট। হয়তো কাউকে স্পর্শ করবে না, হয়তো করবে। কেউ হয়তো ছোট-ছোট বোকামি নিয়ে হাসবে, কেউ ছোট-ছোট ভুল দেখে বিরক্ত হবে। মোটকথা এই আমি, আমার জীবন, এটার সম্পর্কে একটা ধারনা দেবার চেষ্টা করি বরং। বড়-ব...

স্মৃতি তুমি বেদানার পাতা থেকে ...

(ফেব্রুয়ারী মাসে নাগরিকে প্রকাশিত...) ভাষার মাসে (ব্যক্তিগতভাবে আমি ভাষার মাসে বিশ্বাস করি না, আমার ভাষা সারাজীবনের জন্য, প্রতিটি ক্ষণ, প্রতি মুহূর্তের জন্য।) আমার ইউনিভার্সিটি জীবনের একটা ভাষা বিষয়ক মজার অভিজ্ঞতার কথা বলতে ইচ্ছে করছে। আমাদের এই মাটি প্রায় ২০০ বছর ছিল ব্রিটিশ শাসনের অধীনে। তাই এই ভাষাটা আমাদের জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জুড়ে গেছে। যথারীতি আমার ইউনিভার্সিটিও একটা ইংরেজি মিডিয়াম ইউনিভার্সিটি। যার একটা ভালো দিক হল, ঘটনাটা নিজের ভাষা নিয়ে না।     

বিজয়

১। তিন দুই ছয়, তিন সহস্র চৌ'শত এক ও পাঁচশত সত্তর ২। সাক্ষী ইতিহাস, যা বর্ণনা দেয় কালো রাত-এর। ৩। আপনি কি জানেন কালো রাত কি? ৪। কালো রাত হল সেই রাত যা শত-সহস্র রাত হতেও নিকৃষ্ট। ৫। এই রাতে নেকড়ের দল হামলে পড়েছিলো নিরীহ মানুষের উপর, তাদের প্রভুর নির্দেশে। ৬। হত্যাযজ্ঞ চলে সকাল পর্যন্ত ৭। অতঃপর সৃষ্টি হয় দু'টি দলের। ৮। একদল হয় সেবক, নেকড়েদের। ৯। নিশ্চয়ই হায়েনারা পাবে প্রাপ্য শাস্তি। ১০। আর যারা সমবেত হয়েছিলো, ১১। নিজ মাতৃভূমি রক্ষায় ১২। তারা পেল বিজয়। ১৩। আর কেউ কেউ বলে প্রমাণ দেখাও। ১৪। তাদের হৃদয় করা হয়েছে সীলমোহর-কৃত ১৫। ও, তাদের চোখ, কখনোই খুঁজে পাবে না, সত্যকে। ১৬। আপনি নিশ্চিত থাকুন, তাদের শাস্তি সম্পর্কে। ১৭। আপনিই পাবেন বিজয়, অতীতের মত।

why so serious!!!!

দিন পার হয় , পার হয় দিন.... ভাবনাবিহীন ধুলা- ফুটপাথ , চায়ের দোকান এই রাত্রিদিন মানুষ , মানুষ আর মানুষের শহরে ফিরে তাকাই না , শুধু হেটে যাই ক্লান্তিভরে আমার জানালা -চা এর দোকান ছোট টংঘর পর ও আপন হয় ,হয় আপন পর.... দিন পার হয় , পার হয় দিন.... ভাবনাবিহীন খয়া চাঁদ আর ভাঙ্গা ইট কাঠ হয়না মলিন আছে অচেনা রাস্তারা, আছে মোবাইলে রিংটোন,আছে পরিচিত রেস্তোরা , আছে হারিয়ে যাবার মন.... আছে পোষা বিরাল - পাখি, আছে চেনা মানুষ জন , আছে ছুটে চলা ঘরি, আছে হারিয়ে যাওয়া খন.... চলবে যা ইচ্ছা তাই.... তবু আমাদের কি কি আছে তারই হিসেব করা সহয ,কারন নেই এর হিসেব কখনই শেষ হয় না ....:D:D

অসমাপ্ত গান

চলতি পথে থমকে দাড়ায়, দু' চোখ বেয়ে রক্ত গড়ায়, চোখের পানি বহু আগেই শুকিয়ে গেছে তার। ভাবনা গুলো আগের মত, বাধে না আর কোনই সুতো, হঠাৎ করেই বাচতে চাওয়া, বিদ্রোহী আত্মার।। ছেলেটা খুঁজে যায় সে-সময় বারে বার, ছেলেটা পেতে চায়, অতীতটাকে আবার। বাড়ছে খরচ বেচে থাকার, গতি বাড়ছে জীবন চাকার, কমছে শুধু মানুষ হয়ে বাচার অঙ্গীকার। পায় যে ভয় আজ দেখতে আকাশ, শুকতে শিশির ভেজা বাতাস, হয়ে গেছে সবকিছু আজ নষ্টর অধিকার। ছেলেটা খুঁজে যায় সে-সময় বারে বার, ছেলেটা পেতে চায়, অতীতটাকে আবার।

বিপ্লব

১। অতঃপর তাহারা কহিল, এই কার্য আমাদের নহে। ২। কসম মানবজন্মের, যা তোমাদের করেছে সৃষ্টির সেরা এবং দিয়েছে বিবেচনা শক্তি। ৩। আপনি কি জানেন না ভারতবর্ষের ইতিহাস? ৪। সাধারণ মানুষ ছিল রাজনীতি হতে দূরে এবং যুদ্ধ হতো শুধুই রাজ-সেনাদলের মধ্যে। ৫। বিনিময়ে তারা পেয়েছিল নীলচাষের মতন অভিশাপ। ৬। এবং কেউ কেউ বলে ওদের আন্দোলনে আমাদের অংশগ্রহণ নাই। ৭। আভ্যন্তরীণ কোন্দল ভারত-জাতীকে করেছিল দুর্বল বহিঃশত্রুর মোকাবেলায়; এবং এনেছিলো ব্রিটিশ শাসন। ৮। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন ভারত-বিভাগ সম্পর্কে, যা ছিল শাসকদের সিদ্ধান্ত এবং সাধারণ মানুষকে বাধ্য করেছিল জন্মস্থান ছেড়ে যেতে। ৯। নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত শত্রুতা জাতিগত-ভাবে ক্ষতিকর। ১০। হে বান্দাসকল, কসম তোমাদের; তোমাদের সামনে রয়েছে এক কঠিন পরীক্ষা। ১১। তোমাদের যাদের রয়েছে বিবেচনা (এবং জ্ঞান) তারা অবশ্যই ভুলে যাবে ব্যক্তিগত মতানৈক্য এবং করবে আরও শক্তিশালী, আন্দোলনকে। ১২। নিশ্চয়ই তোমার জানা আছে প্রতিটি পদক্ষেপ, ঘরের শত্রুর। ১৩। এবং যাকে পরাস্ত করার সুযোগ পাবে তুমি ভবিষ্যতেও, যদি পাও বিজয় বহিঃশত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে। ১৪। হে বান্দাসকল, কসম মানবজাতির ইতিহাসের, ক্ষ...

আমার দুনিয়া দর্শন ....

সবাই একই রকম স্মার্ট হয়ে দুনিয়াতে আসতে পারে না। আফসোস আমি নিম্ন মানের আই-কিউ নিয়া দুনিয়াতে আসছি, তাই সেই ছোটবেলা থেকে ভুগছি।এই দুনিয়ার হালচাল আমি বেশীর ভাগ ই বুঝি না, আর বুঝলেও যেগুলা কঠিন মনে হয় সেগুলা মনে রাখতে পারি না। প্রথমেই ছোটবেলার কথা ধরা যাক, আমি যে একটা মেয়ে সেটা আমাকে বার বার মনে করায় দেয়া আর বাচ্চা মেয়েদের কার্যকলাপ বার বার শিখানো সত্ত্বেও আমি সেটা মোটেও মনে রাখতে পারতাম না । শেষ পর্যন্ত সবাই হাল ছেরে দিলো.... একটু বড় হয়ে আমি পড়াশুনার দুনিয়ায় বেশী সুবিধা করতে পারলাম না। কখনো খুব ভালো ত কখনো খুব খারাপ, খুব মনোযোগ দিয়া মুখস্থ করতে পারতাম না.... কলেজে প্রেম করা হয়নি প্রেম বুঝি না বলে.... আর এখন ত দুনিয়ার বেশির ভাগ জিনিস ই বুঝি না.... আমি যে কত মানুষকে ডিসাপয়েন্টেড করেছি সেটা ভাবলে নিজের-ই ভয় লাগে। কিন্তু এই সহজ সত্যটা কেউ বুঝে না যে এইটা ইচ্ছাকৃত না.... বরং আমার নিম্ন আই কিউ লেভেল এর জন্য।আর বুঝলেও মানুষ মোটেও মানতে চায়না যে দুনিয়াতে লো আই-কিউ নিয়াও কেউ পয়দা হইতে পারে । তো যেই কথা বলতেছিলাম  , কথা হচ্ছে আমার দুনিয়া দেখা নিয়ে আর আজকে আমি ম...

একখানা অর্বাচীন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার...

আমার একটা নতুন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়াছে। ইহা নাকি খাদ্য গ্রহণে অনিয়ম করার ফসল। ইহার ফলে, ২/৩ দিন পরপর পশ্চাৎদ্বেশের বহিরা-ভরন ছিঁড়িয়া যাইবার উপক্রম হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানিতে পারিলাম, আরও অনেকেরই এই ব্যাধি রহিয়াছে, কিন্তু চক্ষুলজ্জার ভয়ে তাহা তারা প্রকাশ করিতে চাহেন না। এই সমস্যার সমাধানে তাহারা একটা ক্ষতিকর বস্তুর শরণাপন্ন হন, যাহাকে প্রকারান্তরে অনেকে সিগারেট/বিড়ির মাধ্যমে গ্রহণ করেন। উহা হইল নিকোটিন। এই নিকোটিন নামক বস্তুর সহিত যদি গরম দুগ্ধ মিশ্রিত চা বৃক্ষ-পত্রের নির্যাস গ্রহণ করা হয়, তবে নাকি ইহা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখে। কিন্তু, নিকোটিন নামক এই ক্ষতিকর বস্তুটিতে অভ্যস্ত হইয়া গেলে, অন্য এক প্রকার যন্ত্রণার সম্মুখীন হইবার আশংকা থাকে, তাহা হইল, যখনই এই বস্তু গ্রহণ করা হয়, তখনই আপনার জৈবিক বর্জ্য আপনার শরীর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইবার প্রয়াসে আপনার পশ্চাৎ নির্গমন পথে আসিয়া চাপ প্রয়োগ করিতে থাকে। আমি তাই একখানা বিকল্প সমাধান খুঁজিয়া পাইতে উদ্যোগী হই। এবং যথেষ্ট গবেষণা পূর্বক একখানা ফর্মুলা আবিষ্কার করিতে সক্ষম হইয়াছি। ইহা এখন পর্যন্ত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না...

ভাবনার সেকাল আর একাল...

এখনকার মানুষের, না আসলে যুবা বয়সের মানুষদের ভাবনার গভীরতা কম বলে আনেকেই অভিযোগ করেন। আমার এই ব্যাপারে নিজস্ব একটা থিওরি আছে। আসলে মানুষের ভাবনার গভীরতা কখন বাড়বে? যখন সে ভাবার সময় পাবে। একটা সময় ছিল, যোগাযোগ বলতে কেবল চিঠিই ছিল। একটা চিঠি যেতে আর তার উত্তর আসতে সময় লাগত কমপক্ষে ৬ দিন। একটা বিশাল সময় পার হত জল্পনা-কল্পনায়, প্লানিং-এ। উত্তর কি আসতে পারে, কোন কথার উত্তরে কি লিখব, কোন কোন কথা বাকি রয়ে গেল, এসব। এছাড়া জমানো কথাগুলো এক-দেড় পৃষ্ঠার একটা চিঠিতে গুছিয়ে লিখার মত ব্যাপার-ও ছিল। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। ই-মেইল যায় চোখের পলকে, কিন্তু সেটিও এখন শুধু অফিসিয়াল কাজেই ব্যবহার হয়। তারচে বেশি চলে, চ্যাট। অথবা ইচ্ছে হলেই ফোন। সেটিও আবার মোবাইল, মানুষের সাথে সাথেই ঘুরছে। তো যখন যে কথা মনে আসে ইচ্ছে হলেই বলে ফেলা যায়। চিন্তা করার সময় কোথায়? হয়তো একারণেই ভাবার সময়ও মানুষ এখন কম পায় আর ফলশ্রুতিতে, ভাবনার গভীরতাটাও কম মনে হয়। আসল কথা হল, আগে আমদের মাথায় একটা ভাবনা বা আইডিয়া আসত, সেটার রাফ ছোট-ছোট কথা জমা হত, সেটাকে ফ্রেশ করে, মনে জমে থাকা কথাগুলোই সাজিয়ে গুছিয়ে ফ্র...

মহান হবার ফর্মুলা আবিষ্কারের গল্প... দ্বিতীয় পর্ব - সেনাজীবন

দ্বিতীয় পর্ব - সেনাজীবন প্রথম পর্বের পর -  ~~~ চারিদিকেই কেমন যেন যুদ্ধের সাজ সাজ রব। ১৫ ইঞ্চির দুনিয়ার সবাই নাড়ে-চড়ে বসছে। নতুন একটা পেজ চালু হচ্ছে। ভাইয়া তাতে সমর্থন দিয়েছেন। ভাইয়ার সমর্থনের কারণে এ পেজের জনপ্রিয়তা হুহু করে বাড়ছে, জোয়ারের স্রোতের মতন। এই পেজটা হবে ছাগুদের উপর একটা চরম ব্লো। "পারলে আরেকটা লেইখ্যা দেখা" চ্যালেঞ্জের জবাব দিতেই এই পেজ। আমার প্রেমিকার উৎসাহ তখন তুঙ্গে। ওর কথা হল, এখন আর কাঁচুমাচু করে লাভ নাই। ভাইয়া বলছে, সবারই উচিৎ নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দেয়া। আসলেই তো তাই হওয়া উচিৎ, তাই না? ধার্মিক পাবলিক যেই পরিমাণে আক্রমণাত্মক, কিছু হলেই কল্লা নামাইতে চলে আসে, আমাদেরও উচিৎ অফেন্সে যাওয়া। কাপুরুষ হয়ে একশ দিন বাচার চেয়ে বাঘের মত একদিন বাচা উচিৎ। ভাইয়ের ডাকে, আমাদের বিপ্লবী চেতনা জেগে উঠছে, রক্ত গরম করা সব স্ট্যাটাস ছাড়ছেন ভাইয়া। শুরু হল এট্যাক। প্রথম আক্রমণের ধারা দেখে আমি মুগ্ধ। মেধা আছে বটে। মাতৃত্বের বাণী এলো, মানবতার বাণী এলো, দৈনন্দিন জীবন এর গল্প এলো, হাসি-ঠাট্টার গল্প হল... আর সেই সাথে আবেগী ভাষণ। আমার প্রেমিকা তো আগে থে...

মহান হবার ফর্মুলা আবিষ্কারের গল্প... প্রথম পর্ব: নতুন পৃথিবী

  প্রথম পর্ব: নতুন পৃথিবী আমার দিন-কাল ভালই কাটছিল। দুপুর পর্যন্ত ক্লাস, বিকেল পর্যন্ত অফিস, সন্ধ্যা পর্যন্ত ডেটিং, রাত পর্যন্ত আড্ডা আর মাঝ-রাত পর্যন্ত মুঠোফোনে প্রেমালাপ। পৃথিবীর সকল সমস্যা এবং তার সমাধান, এই ছকের মধ্যেই বেধে ফেলা যেত। ফোনে প্রেমালাপ আর কত সময়ই করা যায়! ভালবাসি... খুব ভালবাসি... এই প্রকার আলাপচারীতার দৈর্ঘ্য কখনোই ৩০ মিনিট ছাড়িয়ে যায় না। বাকিটা সময় দৈনন্দিন হাড়ি-পাতিলের সংঘর্ষের শব্দাবলীই তখন হয়ে ওঠে প্রেম! হাড়ি-কড়াইয়ের এই টুংটাং শব্দের মাঝেই শুনতে পেলাম, আমার প্রেমিকা নাকি ব্লগ পড়া ধরেছে। যাই হোক, এটাকে কখনোই আমার সেই ব্যক্তিগত রুটিনের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয় নি, তাই এটা নিয়ে ভাবার কথাও ভাবতে হয়নি কখনও। তবুও প্রেমিকার কাছে ক্রেডিট নেবার লোভটা ছাড়ার মত মহামানবীয় গুন আমার নেই। ফলাফল, প্রেমিকার বিস্ময় মাখা সোৎসাহের উক্তি - " আয়হায়!!!! তুমি ব্লগ লিখ!!!!!!!!!! দাও তো লিংকটা দাও তো...." " এহ! হে! তোমার তো ম্যাক্সিমামই ইংলিশ ...." " ব্লগ গুলাতে কেউ ইংলিশ লেখা পড়ে না..... " " তুমি তো ভালোই লিখ, বাংলায় লিখ না......