Skip to main content

আমার দুনিয়া দর্শন ....

সবাই একই রকম স্মার্ট হয়ে দুনিয়াতে আসতে পারে না। আফসোস আমি নিম্ন মানের আই-কিউ নিয়া দুনিয়াতে আসছি, তাই সেই ছোটবেলা থেকে ভুগছি।এই দুনিয়ার হালচাল আমি বেশীর ভাগ ই বুঝি না, আর বুঝলেও যেগুলা কঠিন মনে হয় সেগুলা মনে রাখতে পারি না।

প্রথমেই ছোটবেলার কথা ধরা যাক, আমি যে একটা মেয়ে সেটা আমাকে বার বার মনে করায় দেয়া আর বাচ্চা মেয়েদের কার্যকলাপ বার বার শিখানো সত্ত্বেও আমি সেটা মোটেও মনে রাখতে পারতাম না । শেষ পর্যন্ত সবাই হাল ছেরে দিলো....
একটু বড় হয়ে আমি পড়াশুনার দুনিয়ায় বেশী সুবিধা করতে পারলাম না। কখনো খুব ভালো ত কখনো খুব খারাপ, খুব মনোযোগ দিয়া মুখস্থ করতে পারতাম না....
কলেজে প্রেম করা হয়নি প্রেম বুঝি না বলে....

আর এখন ত দুনিয়ার বেশির ভাগ জিনিস ই বুঝি না....

আমি যে কত মানুষকে ডিসাপয়েন্টেড করেছি সেটা ভাবলে নিজের-ই ভয় লাগে। কিন্তু এই সহজ সত্যটা কেউ বুঝে না যে এইটা ইচ্ছাকৃত না.... বরং আমার নিম্ন আই কিউ লেভেল এর জন্য।আর বুঝলেও মানুষ মোটেও মানতে চায়না যে দুনিয়াতে লো আই-কিউ নিয়াও কেউ পয়দা হইতে পারে ।
তো যেই কথা বলতেছিলাম  , কথা হচ্ছে আমার দুনিয়া দেখা নিয়ে আর আজকে আমি মুডে আছি আমার নারী  দর্শন নিয়া কিছু নিম্ন আই-কিউ এর কথা বলতে। কারণ আজকেই কই জানি দেখলাম কে জানি মেয়েদের কাপর চোপরের মাপ নিয়া তাদের চরিত্র মাপতেছে ....lol.... এরচে হাস্যকর আরেক জায়গায় দেখেছি, গর্ভপাত করার সময় নাকি জরায়ুতে একটা বড় কাচি ঢুকায় কেটে কেটে বাচ্চা বের করে। বিচিত্র এই দুনিয়া, বিচিত্র আমার ফেবুর হোম পেজ- এইখানে ধর্মানুভুতিতে আঘাত পাওয়া আহত নিহত ব্যক্তির চিৎকার আছে , বাক-স্বাধীনতার জোরালো দাবী আছে, কবি আর প্রেমিক আছে, দুষ্ট বালক-বালিকারা আছে , ইয়ো-রা আছে , আতেল আছে , অবিশ্বাসী কাফের-রা আছে আর তারচেয়েও বেশী আমার ভালো বন্ধুরা আছে।

এখন বাংলাদেশের মেয়দেরকে দেখা বলতে, আমার স্কুল-সিটি রাজশাহী, নানার বাড়ি, হোস্টেল আর ঢাকার সব জায়গার মেয়দেরকে দেখা বুঝায়; এর বাইরে বিশাল বাংলা অনাবিষ্কৃত। তো কি দেখলাম আমি আমার ছোট্ট বাউন্ডারি তে (আমিও এই এরিয়া এর একজন) - আসলে মেয়েরা চাইলেই তাদের পছন্দের কাছা কাছি একটা জীবন কাটাতে পারছে কিন্তু পুরাপুরি না। তারা ইচ্ছা করলেই সামনে বিশাল পানি দেখলে মোজা-জুতা পরে ঝাঁপিয়ে পরতে পারে না, কিন্তু ইচ্ছা মত বৃষ্টিতে ভিজতে পারে । আসলে উদাহরণ দিয়ে লাভ নাই খুব সূক্ষ্ম কিছু ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু কথা হল এই সূক্ষ্ম মাপজোখ-এ আমি তখনই বসব যখন সবকিছু একই লেভেলে থাকবে কিন্তু আমার মনে হয় না একই লেভেলে আছে....

প্রতিদিন রেপ , এসিড নিক্ষেপ , যৌতুক এর দাবীতে অত্যাচার আর খুন, পাচার আর বিক্রি একটা রেগুলার ঘটনা এবং শহরে আধুনিক কোন মেয়ে বা আপনাদের ভাষায় উশৃংখল মেয়েরা ইভ-টিজিং এর শিকার হওয়াটা বরং অনেক রেয়ার। তাহলে খামোখাই মানুষের ব্যক্তিগত পোশাক-আশাক, তার নিজের মত করে একটু জীবন কাটানো দেখে আপনাদের গালাগালির কারণ কি?? বরং যেসব এলাকায় এইধরনের ক্রাইমের প্রাদুর্ভাব বেশী সেখানকার মেয়েরা শালীন পোশাক-ই পরে আর বিনা প্রয়োজনে বাইরেও যায়না....তবু তারা রক্ষা পায় না....

আমার নিম্ন আই কিউ এ মনে হয় কারণটা আপনাদের অবদমিত কামনা বাসনা আর না পাওয়ার ক্ষোভ ....তাই কি??

এখানে নারীবাদ এর প্রয়োজন নাই বরং সবাইকে মানুষ হিসাবে না ভাবতে পারার ব্যর্থতা আছে। পুরুষ-বাদ মেয়েদেরকে চিপা দিয়ে নিচে নামাইতে চায় আর নারীবাদ নারীকে ঠেলে উপরে তুলতে চায়। কিন্তু মানুষ হিসাবে পাশাপাশি কি তারা কখনো দাঁড়িয়েছে!!!! আমি জানি না ; অবশ্য আমি দুনিয়ার বেশীরভাগ জিনিস ই জানি না....

ভেবে দেখলাম আমি যেমন অনেককে হতাশ করেছি, আমি নিজেও কম ডিসাপয়েন্টেড হই নাই....

পৃথিবীর এই কর্নারে ছোট্ট একটা দেশ আছে বাংলাদেশ যেখানে সবকিছু অনেক অন্যরকম , জীবন কঠিন কিন্তু মাঝে মাঝে ভীষণ সুন্দর। কেউ কি আমার মত লো আই কিউ নিয়ে আমার দেশকে দেখে!!!! জানতে ইচ্ছে করে....

Comments

Popular posts from this blog

দুঃসময় বা দুঃস্বপ্নের সময়...

কেন যেন মনে হচ্ছে দুঃস্বপ্ন দেখছি, আর প্রচন্ড অসহায় হয়ে চাচ্ছি, কেউ আমার ঘুমটা এক ঝটকায় ভেঙ্গে দিক। দুঃস্বপ্নের শুরু মায়ের অসুস্থতা দিয়ে। এখান ওখান করে শেষ পর্যন্ত কুর্মিটোলা হাসপাতালে পৌছালাম, ইমারজেন্সি-তে ওদের প্রশ্নের জবাব দিতে দিতেই মেইল এল, আম্মার COVID-19 পজিটিভ। সব ভয় ভুলে, চলে গেলাম রোগি ভরা ওয়ার্ডে, বেডে শুইয়ে দিলাম, ডায়ালাইসিস করে দিলাম। চলে আসার সময়, একবার মনে হল, এর পর আর দেখা হবে না। দু'দিন পর, ICU তে যায়গা পাওয়ায়, একটু নিশ্চিন্তে অফিসের একটা মিটিং এ জয়েন করলাম। মাঝামাঝি সময় ফোন এল, আম্মু সব চিকিৎসার বাইরে চলে গেছে, আম্মুকে নিয়ে আসতে হবে। সেদিন সেপ্টেম্বরের ৩০, ২০২০। ঈদের আর দুদিন বাকি। পরদিন বানানি কবরস্থানে মাটি চাপা দিলাম। সেই সময় প্রচন্ড বৃষ্টি, আগের দিন থেকেই স্বাভাবিকভাবেই চলছিলাম, কিন্তু কেন যেন এখন আর পারলাম না, সকল আত্মসংযমের বাধ ভেঙ্গে চুরে, বুকের ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে কান্না এল।  বৃষ্টির পানি, মুখের মাস্ক, পিপিই সব মিলে সেই চোখের পানি লুকিয়েই ছিল হয়তো, খেয়াল করা হয়নি। বা সেই অবস্থায় ও ছিলাম না।  এর পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন, বাসার সবার। এর মাঝেই বাবার পাতলা পায়খা...

জেনারেশন গ্যাপ

জেনারেশন এ পরিবর্তন আসে অবশ্যম্ভাবী হয়ে। এর কোন ব্যতিক্রম নাই। কেউ চাক বা না চাক এই প্রক্রিয়া চলবেই। ভাল লাগুক বা মন্দ লাগুক কেউ সময় কে থামাতে পারবে না। এর মধ্যে বিতর্ক এসে যায় ভাল পরিবর্তন আর মূল্যবোধের নিম্নগামীতা নিয়ে। কিন্তু আমি সেসব নিয়েও কথা বলছি না। আমি বলছি কারণ যুগে যুগে সব মানুষের অপ্ত বাক্য ‘ দুনিয়াটা রসাতলে গেল ’। আমার দাদা আমার দাদী কে ভীষণ ভালোবাসতেন এবং তার মৃত্যুশোকে সন্ন্যাসী হন। তিনি তখন অবশ্য ছিলেন যুব-সমাজ রসাতলে যাবার অন্যতম উদাহরণ। এখন অবিশ্বাস্য লাগতেই পারে কিন্তু তখন কেউ তাকে ছেড়ে কথা বলেনি। আমার বাবা রবীন্দ্র সঙ্গীত এর ভীষণ ভক্ত ছিল কিন্তু তার সময় এটা ছিল সঙ্গীত এর নামে অশ্লীলতা। আব্বুকেও সিনেমা হলে সিনেমা দেখাতে যাবার জন্য অসংখ্যবার শুনতে হয়েছে যুব-সমাজ রসাতলে গেল। এসব সিনেমা কে এখন আমরা আর্ট পিস এর সম্মান দেই। এখন সবার গা-জ্বালা করা একটা সর্বনাম হল ডিজুস জেনারেশন বা আধুনিক ইয়ো পোলাপান। সবার মত অনুযায়ী তাদের কোন শেকড়ই নাই এবং এরা অন্ধভাবে পশ্চিমা সভ্যতা অনুকরণ ও অনুসরণ করে। কিন্তু সময় যখন সব বদলায় তখন সময় এর সাথে যুদ্ধ করা; আমি ঠিক কিন্...

Personal notes on my Transition form Windows to Linux - Part 1 : Prolouge

Deciding to move to Open-source/Free software and Linux for everyday task is not a small decision. Especially when living in Bangladesh where almost 80% of the people still uses ASCII font based system for typing Bangla language, paying for software is a very remote idea which happens to only to the “Other people”.