Skip to main content

Posts

Showing posts from 2013

বিরহী কথন

যখন ছোট ছিলাম, টেলিফোনে ক্রস-কানেকশন, রং-নাম্বারে প্রেম ব্যাপারগুলো ডাল-ভাতের মত ছিল। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় কিভাবে যে ক্রস-কানেকশন, রং নাম্বার টেলিফোনের থেকে বাঙ্গালী রোমান্টিক ব্যাপারগুলো হারিয়ে গেছে। তবে সেই সময়ের ছোঁয়া কিছুটা আমিও পেয়েছিলাম ভাবতে ভালোই লাগে। মেট্রিক পরীক্ষার পর-পরই এমন ভাবে একজনের সাথে টেলিফোনে পরিচয় হয়। পরিচয় প্রণয়ের দিকে যাবার মতো বয়স তখনও হয় নাই। তো, সেটা সুন্দর একটা বন্ধুত্বের দিকে এগিয়েছিল। টেলিফোনে তার সাথে কথা বলতে বেশ বেগ পেতে হত। প্রথমত, তার স্বর; সুন্দর, কিন্তু এতো নিচু স্বরে কথা বলতো যে প্রায় ক্রেডল কানে ভেতর ঢুকিয়ে ফেলতে হত। আর দ্বিতীয়ত, সে ছিল ইংলিশ মিডিয়ামের, তার ভাষাটার অনেক শব্দই তখন আমার কাছে পরিচিত না। তার নামটাও অদ্ভুত ছিল, মারওয়া। আমি কয়েকদিন মারুয়া বলেও খেপিয়েছিলাম। একদিন পরে শুনে নিয়েছিলাম, মারওয়া, আরবের একটা পাহাড়ের নাম। হজ্বে মানুষ এই খানে দৌড়ায়। অর্থ যতদূর মনে পরছে, "স্বচ্ছ"। তার সাথে দুটি ঘটনা আমার প্রায়ই মনে পরে, আমার মা, আমি ফোন ধরলে বেশ বিরক্ত হত, কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন আমার দখলে থাকে, তার প্রিয় কাজ ছিল, কেউ ফোন করলে আম...

রামুর স্মৃতি

পোড়া ঘরগুলো দাড়িয়ে গেছে আবার, শুকায়-নি ক্ষত পুড়িয়ে দেয়া মনের... এটাই কি তবে শেষ নাকি সবে শুরু, এই প্রশ্নটা ঘরপোড়া লোক-জনের। প্রতিবাদে সব ফেটে পড়েছিল ঠিকই, প্রতিবাদেই তারা আত্মতৃপ্তি পায় প্রতিবাদ শেষে ভুলেছেও সব দ্রুত, প্রতিবাদ শুধু নিষ্ফলা রয়ে যায়। পুড়েছে রামু, পুড়েছে কিছু পুথি, ভেঙ্গেছে প্রাচীন নিদর্শনও কিছু। নিশ্চিন্তে ভুলে গেছি সেই সব কথা, দানবটা যদিও এখনও ছাড়েনি পিছু।

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ৪

বাবুরা সবাই কেমন আছ? তোমাদের উপর আমি বেশ ডিজাপয়েন্টেড। তোমরা কেউ কোন ছবি আমাকে দেখালে না... অমি ভেবেছিলাম, আমি আর লিখব না, কিন্তু তারপর মনে পড়ল, আমার লিখা গুলো আগে প্রায় পুরোটাই লিখেছিলাম, ফিল্ম ক্যামেরার কথা ভেবে। কিন্তু এখন আর ফিল্ম ক্যামেরা মিউজিয়ামে ছাড়া কোথাও ইউজ হয় না। তাই আজ, থেকে স্পেসিফিক-লি ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে লিখব। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে লিখতে গেলে আগে জানতে হবে, ডিজিটাল ক্যামেরা সম্পর্কে। তাই, আজ শুধুমাত্র ক্যামেরা পরিচয় চলবে।

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ৩

কি খবর বাবুরা? কেমন চলছে ফটোগ্রাফি প্রাকটিস? ফটোগ্রাফির সহজ পাঠের প্রথম পর্বে আমি কিছু বেসিক টার্ম বলেছিলাম। ১. সেনস্টিভিটি বা সেন্সরের ক্ষমতা (আই, এস, ও,) ২. শাটার স্পিড / এক্সপোজার ৩. ফোকাস ৪. শাটার সাইজ / এপার্চার ফটোগ্রাফির সহজ পাঠের দ্বিতীয় পর্বে আমি ১,২ ও ৩ নিয়ে বলেছিলাম। বাকি থাকল, এপার্চার। এপার্চার হল, শাটারের গায়ের ছিদ্রের মাপ, যেটা দিয়ে আলো ঢুকে। এটা মাপা হয় উল্টো নিয়মে। এখানে যত বড় নাম্বার ততো ছোট ছিদ্র। শাটার তৈরি হয় ডায়াফ্রাম দিয়ে। আরও ভালো করতে বলতে গেলে আইরিশ টাইপের ডায়াফ্রাম দিয়ে। যা হল ছোট ছোট প্যাঁচানো প্লেটের জোড়া।

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ২

বাবুরা কেমন আছ? গত পোস্টের কথা মনে আছে? ফটোগ্রাফির বেসিক টার্ম গুলা বলেছিলাম। আজ এগুলো দিবে কি হয়, কি করে তা বলব।  কিন্তু, ছোট্ট বাবুদের মনে রাখার সমস্যার কথা আমি জানি। তাই, নতুন একটা ট্যাব খুলে তাতে পুরানা পোস্ট টা ওপেন করে তবেই এই পোস্ট পড়া শুরু কর। প্রথমে আসি আই,এস,ও,-তে।

ছোট্ট বাবুদের ফটোগ্রাফির সহজ পাঠ - ১

ছোট্ট বাবুরা, কেমন আছ সবাই? গত পোস্টে কিছু মাপজোক দিয়েছিলাম যেন তোমরা সোশাল মিডিয়াতে মাপ-মতো ছবি এডিট করতে পার। কিন্তু যদি ছবিই না থাকে তাহলে ছবি এডিট করবে কিভাবে? এবার তাই ছবি তোলা নিয়ে কিছু শিখাব। প্রথমে বলি ছবি কিভাবে তোলা হয়... একটা সময় ছিল যখন ছবি তুলতে ফিল্ম ক্যামেরা লাগত। সেই ফিল্মের উপর বিশেষ কিছু কেমিকেলের আস্তর দেয়া থাকত। আলো হচ্ছে ছোট-ছোট কণার সমষ্টি। এই কণাগুলোকে ফোটন বলে। যখন ফোটন এসে এই কেমিকেলের উপর পরত, তখন তা বিক্রিটা করে রং বদলে ফেলত। আর ছবি তৈরি হত। এখন ডিজিটাল ক্যামেরার যুগ। কিন্ত ছবি তোলার মেকলানিজমটা প্রায় একই আছে। শুধু, কেমিকেলের আস্তর দেয়া ফিল্মের জায়গা দখল করেছে সেন্সর।

ছোট্ট বাবুদের সোশাল নেটওয়ার্ক ফটোশপ মাপজোকের সহজ পাঠ

ছোট্ট বাবুরা, তোমরা সবাই কেমন আছ? ফেসবুক আর ব্লগ নিয়ে তোমাদের নিশ্চয়ই খুব ব্যস্ত দিন কাটছে। আজকে তাই তোমদের জন্য এই ফেসবুক জাতীয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের একটা সহজ পাঠ নিয়ে এসেছি। আমরা প্রায় সবাই কোন না কোন সোশাল নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করি। সবচে কমনটা হল ফেসবুক, কিন্তু যারা একটু ব্যতিক্রম থাকতে চায় তারা গুগোল প্লাস, নয়তো টুইটার ইউজ করে। যাদের ব্যান্ডউইথ বেশি, তারা ইউটিউব ইউজ করে আর যারা বুড়ো হবে গেছে, চাকরি-বাকরি ছাড়া কিচ্ছুটি বুঝে না তারা ইউজ করে লিংকড-ইন। সব সোশাল নেটওয়ার্ক সাইটেই প্রোফাইল বলে একটা জিনিস থাকে, আর প্রায় সবাই চেষ্টা করে তদের প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাতে। এতে তারা বিভিন্ন ছবি দিয়া সাজায়। আর ছবি এডিট করে কোন না কোন টুল দিয়ে, যেমন ফটোশপ। কিন্তু আমরা প্রায়ই কোন ছবি চরম এডিটিং করার পর সেট করে দেখি, বেশিরভাগ অংশই ঢেকে গেছে, রিসাইজ করলে দেখি, ছবিটা আগের মত আর সুন্দর নাই। কিন্তু যদি আমরা সবাই মাপ-জোক গুলো জানি, তাহলে সেই মাপে ছবি এডিট করতে খুব সুবিধে হয়। আজকে তাই বিখ্যাত সব সোশাল নেটওয়ার্কের প্রোফাইলের মাপজোকের একটা ইনফো-গ্রাফ দিচ্ছি। এই মাপজোকের ইনফোগ...

How a love-story starts...

There was a time when I was popular among my friends for Astrology. Well, to be exact, I was a palmist. Most of the time, what I said depended on my mental situation. And what can say, I was really good when I was bad. My wife used to practice shooting. Not in a professional way. Most of the time around our university, a person with an air-gun and a board pasted with balloons balls can be found. She used to shoot at those balloons. I also used to do some shooting with her. Eventually I got better. I started shooting at Cigarettes and then when I got very good, I started shooting Match-Sticks. And this inflamed anger in my wife. She was getting good. Now, I miss 7 out of 10. She miss 2/3 out of 10 with the match-sticks. And it gets better when she's mad. Well what can I say, She was really good when She is bad. Maybe that's how a love-story starts...

The brother I never had...

In our country, 40 is the age when the youth is gone. 40 is the age when you finally start to look old and weary. It's been 42 years Bangladesh got her freedom and now it seems she has grown... Old... and weary...  It was a bit dark and crowded. The whole place was shadowy as the sky was covered by some big trees. The kerosene lamp was not helping much to improve the situation. But, it was not a least bit scary though. Its was more like a cheerful environment. Some of the people from online world gathered there just for a very informal meeting to plan for a dinner party.  That's where I first saw him.  In the shadow of the trees, somehow he managed to sit somewhere with enough light. And he was shining brightly. Not just because of the light, he was shining with Life. A very thin line of silver hair was expressing the fact that, the ageing had fought well but lost. It couldn't touch his mind and youthfulness. He was shining with youthfulness and light. His face l...

থাবা, যে স্মৃতির দায় থেকে যায়....

গতকাল সন্ধ্যায় ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। ওরা ডেকে পাঠিয়েছিল, থাবার ব্যাপারে স্টেটমেন্ট দিতে। ভাবছিলাম, কি স্টেটমেন্ট দিব? কি বলব? লোকটার সম্পর্কে এরা কিছুই জানে না, চেনে না। এরা কি করে বুঝবে উনি কেমন ছিলেন? কিভাবে উনার সম্পর্কে এরা ধারনা নিবে? ফেসবুক ঘেটে, আমাদের কথা শুনে? অন্ধের হাতি দেখার মত করে? উনার সাথে যখন প্রথম পরিচয় হয়, একটা দাওয়াতে। তখন দেখেছিলাম গোঁফ আছে, একটু বয়স্ক, দেখাচ্ছে। কাউকেই চিনি না, সবার সাথেই আগ্রহী হয়ে পরিচিত হচ্ছিলাম। আমরা নতুন কেউ সে ভাবটা উনা মধ্যে ছিল না, তাই এই কথা, সেই কথা, এভাবেই পরিচয়। ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটাও মোবাইল দিয়ে সাথে সাথেই দিলেন। এরপর আবার অন্য একটা দাওয়াতে দেখা। সেখানে আরও অনেক কথা.... এরপর দেখা সাক্ষাত শুরু হল মিরপুরেই। উনার মাধ্যমেই পরিচয় হল বিপ্লব দা'র সাথে। শুরু হল নিয়মিত আড্ডা। আপন করে নেবার প্রচণ্ড ক্ষমতা থেকেই সবাইকে আপন করে নিতেন। হাজার বার বিভিন্নভাবে ক্ষেপাতে চেয়েছি, গালাগাল করেছি উদভ্রান্ত জীবন যাপন নিয়ে, কিন্তু একতা সময় হাল ছেড়ে দিয়েছি তাকে রাগাতে না পেরে। জীবন সম্পর্কে ছিলেন প্রচণ্ড উদাসীন, সেই কারণেই ...