Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2014

একটা শহর, কিংবা একটা সময়...

আলো ছড়াতে কার্পণ্য করা নিয়ন বাতির দিকে চেয়ে, কারও সাথে সুক্ষ একটা মিল খুঁজে পাই সব বাতিই আধারে জ্বলে, কিন্তু কয়টাকে সুন্দর বলা যায়? অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে... প্রচণ্ড চাপের প্রাকৃতিক বাতাসের স্রোতে ডিজেলের ধোয়া অনেক আগেই ভেসে গেছে স্মৃতি-কাতর দীর্ঘশ্বাস তাই ঠোটে উষ্ণতা দেয়া আগুনের সাথে কুণ্ডলী পাকিয়ে মিলিয়ে যায় প্রকৃতির বাতাসে। অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে... সেই প্রতিদিনের পাগলের মত আড্ডা, এখন অনেকটাই অনাকাঙ্ক্ষিত সামাজিকতা রক্ষা। বার বার করে যাওয়া ঠাট্টাগুলোও এখন খুব তেতো, স্বাদহীন। মানুষ গুলো, সময় গুলো, এখন আর নেই। অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে... চায়ের দোকানগুলো সন্ধে নামতেই জন-বিহীন হয়ে যায়, রাস্তাটাও তারই সাথে তাল মিলায়। স্মৃতির অলি-গলি-ঘুপচি, দুই বাগানের ফাঁকে অকারণ হেটে বেড়ানো পুরনো আড্ডার জায়গাগুলো নেড়ে চেড়ে দেখা কিছু একটা মনে পরতে আনমনে হেসে ওঠা। গলির দিকে অকারণে চেয়ে থাকা। আবারও হারিয়ে যাওয়া সেই গলিতে। অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে... শুধু অনুভূতি ভরা স্বপ্নগুলো ঠিকই রয়ে যায়...

অপরাধ...

জীবন আমার, হৃদয় আমার, ভালোবাসার কষ্টও আমার। আবেগগুলো দমিয়ে রাখার ছলচাতুরী, কষ্টগুলো তাচ্ছিল্যে উড়িয়ে দেয়া, নির্দয় সব রসিকতাও, নিজের সাথে নিজেই করি। বিরক্তি তোর, অনেক বিশাল, তুচ্ছ তো নয় আমার মতো। স্বার্থপরের মতো ভাবি নিজের কথাই ক্ষুদ্র মনের, ভাবনা যতো... ভাবার ফাকেই জোরসে ধমক, চমকে উঠে, থমকে পিছাই। ভুলটা বোঝার আগেই আমি অপরাধী স্বীকার করে, হার মেনে যাই। কি প্রয়োজন হারিয়ে ফেলার? ভয় রয়ে যায় মনের ভেতর। পুরোনো সেই কথার খেলা এখন খুবই বিরক্তিকর।

বন মানুষের গল্প

বাগানের পাশেই জঙ্গল, দূরত্বটা শুধু বজায় থাকে মাঝের পরিখা গুলোয়। বাঁদরের দল সেই পরিখার উপরে সাকো বানায়, সেই সাকোতে বাগান আর জংলা মিলে-মিশে একাকার হয়ে যায়। ডালপালা ছড়ানো মহীরুহ, তার পাশের আগাছার চারাগাছ, সবখানেই বাঁদরের উৎপাত। শকটের সুতীব্র চিৎকারে,  ভেঙ্গে চুরমার হয় নীরবতা। তবু, বুনো-ঘ্রাণ মিশে থাকে ধোঁয়াশার কুণ্ডলীতে। পেছনের প্রতীক্ষা ফেলে রেখে, ছেলেটি উল্টো হাটে। শীতল ঠোঁটে উষ্ণতা দেয়, মুঠোয় ভরা, খুচরো পাথর। জালের গায়ে বিচিত্র সব ভাবনা আঁকে। সময় গুলো, কুড়িয়ে পাওয়া। প্রতীক্ষার ব্যস্ততায়, বাঁদরের দল পথে ফেলে যায়। ছেলেটি বেশ যত্ন নিয়েই সে সব কুড়িয়ে বেড়ায়। অখণ্ড অবসরের বুনো জীবনে, সময় কুড়িয়ে সময় কাটে। অসময়ে, কিছুটা সময়, খুচরো... যেগুলো এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়... প্রাণপণে সেটুকুই খুঁজে বেড়ানো, এর চে' বেশি কিছু চাওয়া নেই, নেই কোন প্রত্যাশা। আর থাকার মাঝে, আছে কিছু স্বপ্ন। বন মানুষের বুনো স্বপ্ন। চাইলে, সেটিতে ভাগ আছে তবে দায় নেই। কোন একদিন, হয়তো, কোন অভিযাত্রী খুঁজে পাবে কোন গুহাচিত্র। পুথি-বদ্ধ, আধা ক্ষয়ে যাওয়া ভাবনা গুলো। ভাবনাগুলো, আবারও অমরত্বের...

হারিয়ে ফেলা মানুষ গুলো...

হারিয়ে যেতে চাওয়ার মাঝে - দুঃখ বিলাস, সুক্ষ সুখের ছোঁয়া আছে। হারিয়ে ফেলার অনুভূতি, কোন ভাবেই এমনটি নয়। সবার প্রথম, ধাক্কা লাগে, বিস্ময় আর অবিশ্বাসের। একটু পরে ক্রোধের ঘোরে প্রতিশোধের নেশায় মাতা... নেশার ঘোরে ক্লান্তি আছে, শরীর ও মন, দু'টোই ভুগে, বিশ্রাম চায়... বিশ্রামটা সুখের মত... ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে শেখায় স্বার্থপরের মতই তখন, প্রথম ভাবা নিজেকে নিয়েই। "আমার তবে কি হবে আজ..." "আমিও যদি হারিয়ে যেতাম!...." .... এমনই সব ভাবনার পর "এখন তবে কি করা যায়..." হারিয়ে যেতে চাওয়ার মাঝে, সুক্ষ সুখের ছোঁয়া আছে। হারিয়ে ফেলার অনুভূতি, কোন ভাবেই এমনটি নয়। প্রতি দিনের চলার ফাঁকে, কোথায় যেন তাল কেটে যায়। একটা সময় সেটাও কাটে, নতুন করে বাঁচার শুরু। ফোকলা দাঁতের ফাকার মতন, একলা হয়ে যাওয়ার পরে, নিজের দিকে চাওয়া যখন, শুধুই তখন দেখতে পাওয়া। একা ঘরে, খেতে বসে, সবজীগুলো বাছতে থাকা। কিংবা কোন এক সন্ধ্যায়, একলা হাটা, একলা থাকা। অজান্তেই পথ এড়ানো, অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখা.. হারিয়ে যেতে চাওয়ার মাঝে - দুঃখ বিলাস, সুক্ষ সুখের ছোঁয়া আছে। হারিয়ে ফেলার অ...

দেখিস, একদিন তোরাও...

কথা ছিল, তোরাও আমার সাথেই থাকবি। উচ্চকিত স্বরে পাঠ করবি মনের অপ্রকাশিত শব্দ-গাথা। একটু দেরি করে ফেলেছিস কিংবা, হয়তো আমার ছিল ভীষণ তাড়া। তবে, একদিন তোরাও সব ব্যস্ততার অবসান করে, জীবন গুছিয়ে নেয়ার পালা শেষ করে, আসবি অবকাশ যাপনে। তখন দেখবি, সেই পথ আগেই কেউ মাড়িয়ে রেখেছে। তোদের সকল অনুচ্চারিত ভাবনাগুলো, পুথি-বদ্ধ হয়ে আছে। এতদিনের পথ চলার ক্লান্তি তোর কণ্ঠ চেপে রাখবে। পোকায় কাটা পুথির পাতায়, নিজেকে খুঁজবি। শুধু, পোকার পেটের ভুলে যাওয়া অংশ গুলো জোড়া দেবার ক্ষমতা থাকবে না আমার ঘুণে ধরা কঙ্কালের।

লব্ধ...

কথা-ঝুরির, আড়ালে প্রেম নিবেদন। লুকোচুরি, কথার ভাজে হয়না এখন।। নীল শাড়ি, তোকে দেখা হয় না আমার। চতুর্দিক, সর্ষে ফুল দেখি হাজার বার।। হাড্ডিসার আমার দেহে চর্বির স্তর জমে বয়েস বাড়ার, আতঙ্কে মন হয়ে থাকে থমথমে।। সেই সময়, সন্দেহ আবারও মনে ডানা মেলে, সেই ভালোলাগাটায়, ডুবেই আছি আমি আজও কি মনের ভুলে।। তিন চাকার আশ্রয়ে আলাপন। দুষ্টুমি করা হয় না আর ইচ্ছে মতন। টোল-টি তোর, দেখা হয়ে উঠে না আর। আকর্ণ বত্রিশ পাঠি দেখি চারিধার। হাড্ডিসার আমার দেহে চর্বির স্তর জমে বয়েস বাড়ার, আতঙ্কে মন হয়ে থাকে থমথমে।। সেই সময়, সন্দেহ আবারও মনে ডানা মেলে, সেই ভালোলাগাটায়, ডুবেই আছি আমি আজও কি মনের ভুলে।। গানের ছল, আরেকবার আসা কাছে তোর। মজার ফাঁকে, গছিয়ে দেয়া, পুরনো খবর। প্রত্যাখ্যান, ঠাট্টা-ছল, থাকে ভালোই মন। মর খারাপ বিদায় নেবার পর-ক্ষণ। হাড্ডিসার আমার দেহে চর্বির স্তর জমে বয়েস বাড়ার, আতঙ্কে মন হয়ে থাকে থমথমে।। সেই সময়, আরেকবার বোধোদয় হয় আমার, সেই ভালোলাগাটা, কাটিয়ে ওঠা এক অসম্ভব ব্যাপার।।