Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2012

বিপ্লব

১। অতঃপর তাহারা কহিল, এই কার্য আমাদের নহে। ২। কসম মানবজন্মের, যা তোমাদের করেছে সৃষ্টির সেরা এবং দিয়েছে বিবেচনা শক্তি। ৩। আপনি কি জানেন না ভারতবর্ষের ইতিহাস? ৪। সাধারণ মানুষ ছিল রাজনীতি হতে দূরে এবং যুদ্ধ হতো শুধুই রাজ-সেনাদলের মধ্যে। ৫। বিনিময়ে তারা পেয়েছিল নীলচাষের মতন অভিশাপ। ৬। এবং কেউ কেউ বলে ওদের আন্দোলনে আমাদের অংশগ্রহণ নাই। ৭। আভ্যন্তরীণ কোন্দল ভারত-জাতীকে করেছিল দুর্বল বহিঃশত্রুর মোকাবেলায়; এবং এনেছিলো ব্রিটিশ শাসন। ৮। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন ভারত-বিভাগ সম্পর্কে, যা ছিল শাসকদের সিদ্ধান্ত এবং সাধারণ মানুষকে বাধ্য করেছিল জন্মস্থান ছেড়ে যেতে। ৯। নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত শত্রুতা জাতিগত-ভাবে ক্ষতিকর। ১০। হে বান্দাসকল, কসম তোমাদের; তোমাদের সামনে রয়েছে এক কঠিন পরীক্ষা। ১১। তোমাদের যাদের রয়েছে বিবেচনা (এবং জ্ঞান) তারা অবশ্যই ভুলে যাবে ব্যক্তিগত মতানৈক্য এবং করবে আরও শক্তিশালী, আন্দোলনকে। ১২। নিশ্চয়ই তোমার জানা আছে প্রতিটি পদক্ষেপ, ঘরের শত্রুর। ১৩। এবং যাকে পরাস্ত করার সুযোগ পাবে তুমি ভবিষ্যতেও, যদি পাও বিজয় বহিঃশত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে। ১৪। হে বান্দাসকল, কসম মানবজাতির ইতিহাসের, ক্ষ...

আমার দুনিয়া দর্শন ....

সবাই একই রকম স্মার্ট হয়ে দুনিয়াতে আসতে পারে না। আফসোস আমি নিম্ন মানের আই-কিউ নিয়া দুনিয়াতে আসছি, তাই সেই ছোটবেলা থেকে ভুগছি।এই দুনিয়ার হালচাল আমি বেশীর ভাগ ই বুঝি না, আর বুঝলেও যেগুলা কঠিন মনে হয় সেগুলা মনে রাখতে পারি না। প্রথমেই ছোটবেলার কথা ধরা যাক, আমি যে একটা মেয়ে সেটা আমাকে বার বার মনে করায় দেয়া আর বাচ্চা মেয়েদের কার্যকলাপ বার বার শিখানো সত্ত্বেও আমি সেটা মোটেও মনে রাখতে পারতাম না । শেষ পর্যন্ত সবাই হাল ছেরে দিলো.... একটু বড় হয়ে আমি পড়াশুনার দুনিয়ায় বেশী সুবিধা করতে পারলাম না। কখনো খুব ভালো ত কখনো খুব খারাপ, খুব মনোযোগ দিয়া মুখস্থ করতে পারতাম না.... কলেজে প্রেম করা হয়নি প্রেম বুঝি না বলে.... আর এখন ত দুনিয়ার বেশির ভাগ জিনিস ই বুঝি না.... আমি যে কত মানুষকে ডিসাপয়েন্টেড করেছি সেটা ভাবলে নিজের-ই ভয় লাগে। কিন্তু এই সহজ সত্যটা কেউ বুঝে না যে এইটা ইচ্ছাকৃত না.... বরং আমার নিম্ন আই কিউ লেভেল এর জন্য।আর বুঝলেও মানুষ মোটেও মানতে চায়না যে দুনিয়াতে লো আই-কিউ নিয়াও কেউ পয়দা হইতে পারে । তো যেই কথা বলতেছিলাম  , কথা হচ্ছে আমার দুনিয়া দেখা নিয়ে আর আজকে আমি ম...

একখানা অর্বাচীন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার...

আমার একটা নতুন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়াছে। ইহা নাকি খাদ্য গ্রহণে অনিয়ম করার ফসল। ইহার ফলে, ২/৩ দিন পরপর পশ্চাৎদ্বেশের বহিরা-ভরন ছিঁড়িয়া যাইবার উপক্রম হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানিতে পারিলাম, আরও অনেকেরই এই ব্যাধি রহিয়াছে, কিন্তু চক্ষুলজ্জার ভয়ে তাহা তারা প্রকাশ করিতে চাহেন না। এই সমস্যার সমাধানে তাহারা একটা ক্ষতিকর বস্তুর শরণাপন্ন হন, যাহাকে প্রকারান্তরে অনেকে সিগারেট/বিড়ির মাধ্যমে গ্রহণ করেন। উহা হইল নিকোটিন। এই নিকোটিন নামক বস্তুর সহিত যদি গরম দুগ্ধ মিশ্রিত চা বৃক্ষ-পত্রের নির্যাস গ্রহণ করা হয়, তবে নাকি ইহা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখে। কিন্তু, নিকোটিন নামক এই ক্ষতিকর বস্তুটিতে অভ্যস্ত হইয়া গেলে, অন্য এক প্রকার যন্ত্রণার সম্মুখীন হইবার আশংকা থাকে, তাহা হইল, যখনই এই বস্তু গ্রহণ করা হয়, তখনই আপনার জৈবিক বর্জ্য আপনার শরীর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইবার প্রয়াসে আপনার পশ্চাৎ নির্গমন পথে আসিয়া চাপ প্রয়োগ করিতে থাকে। আমি তাই একখানা বিকল্প সমাধান খুঁজিয়া পাইতে উদ্যোগী হই। এবং যথেষ্ট গবেষণা পূর্বক একখানা ফর্মুলা আবিষ্কার করিতে সক্ষম হইয়াছি। ইহা এখন পর্যন্ত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না...

ভাবনার সেকাল আর একাল...

এখনকার মানুষের, না আসলে যুবা বয়সের মানুষদের ভাবনার গভীরতা কম বলে আনেকেই অভিযোগ করেন। আমার এই ব্যাপারে নিজস্ব একটা থিওরি আছে। আসলে মানুষের ভাবনার গভীরতা কখন বাড়বে? যখন সে ভাবার সময় পাবে। একটা সময় ছিল, যোগাযোগ বলতে কেবল চিঠিই ছিল। একটা চিঠি যেতে আর তার উত্তর আসতে সময় লাগত কমপক্ষে ৬ দিন। একটা বিশাল সময় পার হত জল্পনা-কল্পনায়, প্লানিং-এ। উত্তর কি আসতে পারে, কোন কথার উত্তরে কি লিখব, কোন কোন কথা বাকি রয়ে গেল, এসব। এছাড়া জমানো কথাগুলো এক-দেড় পৃষ্ঠার একটা চিঠিতে গুছিয়ে লিখার মত ব্যাপার-ও ছিল। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। ই-মেইল যায় চোখের পলকে, কিন্তু সেটিও এখন শুধু অফিসিয়াল কাজেই ব্যবহার হয়। তারচে বেশি চলে, চ্যাট। অথবা ইচ্ছে হলেই ফোন। সেটিও আবার মোবাইল, মানুষের সাথে সাথেই ঘুরছে। তো যখন যে কথা মনে আসে ইচ্ছে হলেই বলে ফেলা যায়। চিন্তা করার সময় কোথায়? হয়তো একারণেই ভাবার সময়ও মানুষ এখন কম পায় আর ফলশ্রুতিতে, ভাবনার গভীরতাটাও কম মনে হয়। আসল কথা হল, আগে আমদের মাথায় একটা ভাবনা বা আইডিয়া আসত, সেটার রাফ ছোট-ছোট কথা জমা হত, সেটাকে ফ্রেশ করে, মনে জমে থাকা কথাগুলোই সাজিয়ে গুছিয়ে ফ্র...