Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2014

One Night's Tale

আজ রাত্রিটা বড় নিঝঝুম লাগছে, থেকে থেকে কারা যেন গুমরে কাঁদছে। ঐ আকাশে এক ছোট্ট তারা, এই মাটিতে এক ছন্নছাড়া। আমি যেন এক ভবঘুরে হায় জমে থাকা স্মৃতির বোঝা গুমরে কাঁদায়। ঐ যে দেখা যায়, নিশাচরের যাত্রা রাতের কালো আধারটা আজ ছাড়িয়েছে মাত্রা। আমি যেন আজ শুধুই একাকী আধার মাঝে বসে বসে ভাবছি যেন কি... রাতের একটা ফুল সৌরভ ছড়ায় নিজেকে কেন, স্মৃতিতে জড়ায় এখন যে আর যায় না দেখা কোন সীমান্ত আধার মাঝে মিলিয়ে গেছে যেন দিগন্ত। আজ রাত্রিটা, ঘোর আমাবস্যা হঠাৎ করে নেমে এলো রিমঝিম বর্ষা। কয়েকটা তারা, মিটিমিটি জ্বলছে বাঁশের বনে ফিসফিসানি কথা যে চলছে। আমিও যে এক পথহারা মুসাফির দিনের বেলা পথের মাঝে লক্ষ লোকের ভিড়। দিনের পথ চলা, রাতের কথা বলা আমার মনের কোন কথায় নেই কোন ছলকলা। ভুলে গেছি কখন কবে ছেড়েছিলাম ঘর, পথই এখন আপন আমার ঘর যে আমার পর। কার খোজে যে ছেড়েছিলাম আপন ঠিকানা এখন আমি বুনো পাখি রয়েছে ডানা। -পল্লব, ২১শে জানুয়ারি, ২০০০।

পরবাসের মলিন চিঠি

বেশ কিছুদিন আগে, একবার অনেকটা সময় ঢাকায় থাকতে হবেছিল। আমি চিরকালই আড্ডাবাজ। তাই আড্ডাটা খুব মিস করতাম। তো, সেই পরবাস, ঢকাকা থাকা অবস্থায়, ফুলবাড়ীর চেম্বারের বন্ধুদের কাছে লিখা চিঠির একটা ড্রাফট আজ পেলাম। বন্ধু গোলের অনেকেরই খবর নাই। তবে, এই চিঠিটা পাঠিয়েছিলাম, এবং পরে ফেরত গিয়ে, সমনা-সমানিই চিঠির জবাব শুনেছিলাম। স্মৃতি, দারুন একটা জিনিস। আবার ফিরে যাচ্ছি সেই অতীতে। নিজের অতীর রুপ দেখে নিজেই অবাকও হচ্ছি। পরবাসের বিষণ্ণ বিকেলে, স্মৃতির ভীরে গুমরে কাঁদে মন। সন্ধ্যে-সকাল সকল কাজের ফাঁকে পায় সে খুঁজে ঘরের নিমন্ত্রণ। চলতি পথে হঠাৎ থমকে যাওয়া ঘরের সাথে একটুকু মিল পাওয়া একটু পরেই ভুল বুঝতে পারি, আবার আমি চলতে শুরু করি। ঘরের স্মৃতি ভাবায় না ততোটা সখার জন্যে কাঁদে যতো মন। বহুদূরের চেনা সে আড্ডাতে বসে আছে বন্ধু মোর আপন। পরবাসের আবোল তাবোল কথা মনের মাঝে জমাট স্মৃতির ব্যথা, বহুদূরে দিগন্তের ঐ রেখা ঐখানে কি আছে আমার সখা? মাতাল হওয়ায় মাতাল সবাই আজ, আমিই শুধু বিরতিহীন কাজ। কাজের মাঝে ভুলে থাকি স্মৃতি, তবুও কাঁদায় আপন বন্ধু প্রীতি। অনেক কথাই হচ্ছে মনে জড়ো ধীরে ধীরে পত্রটা ...

ফুলবাড়ীর চেম্বার

অনেক আগের নিজেদের আড্ডা নিয়ে লিখা। তবে শেষ হবার আগেই কোন এক জন্মদিনে এক বন্ধুর উপর এক রাশ অভিমানের সম্পুর্ন ছাপ পরে গিয়েছিল। বাকি সবাই মিলে ঐ দোস্তকে বিশাল ঝাড়ি দেবা হইসিল। তবে সেই বন্ধুবর এখনও বর্তমান। আর বাকিরা কালের স্রোতে অনেকটাই ফিকে। ফুলবাড়ীর চেম্বার, আমিও যে মেম্বার কলেজের স্বর্নালী দিন। সিগারেট হতে ধরে, চুটিয়ে আড্ডা মেরে দেখে যাই স্বপ্ন রঙ্গিন। কখনো বা সক্কাল কখনো ভর দুপুর, কখনো পড়ন্ত বিকেল। আমরা মিলে সবাই, হিসেব মিলিয়ে যাই ক'টায় এবার হবে ফেল। বহু বিল পাশ হয়, আমাদের আড্ডায় সবাই তো কথা রাখে না। ও যদি না রাখে আমি কেন রাখব এই তো, সবার ধারনা। অপমান অবিচার মানুষ, না গণ্ডার!!! কেউ কিছু গায়ে মাখে না। প্রটেস্ট করতে গেলে সক্কলে মিলে বলে, "ও কাজ ভুলেও কোরো না"। পাশ হয় কত বিল যার সাথে বেশি মিল সেই তো রাখে না কথা একটু জনপ্রিয়তা কে না পেতে চায় কেউ পায়, পাক না, ব্যাথা। কারো মুখে সারাক্ষন চেনা সেই অঞ্জন ভরসা পাচ্ছি না কোন। কিন্তু বন্ধু হায়, জানতে যে মন চায়।   (তোর) ভরসা কি ছিল কখনো। এই তো, আড্ডাটা তবুও য...

ছোট্ট বাবুদের, ওয়াইফাই দিয়ে নেট শেয়ারের সহজ পাঠ

কি খবর ছোট্ট বাবুরা? কেমন আছ সবাই? ল্যাপটপ আর স্মার্ট-ফোনে সমান-তালে নেট ইউজ কর কে কে? স্মার্ট ফোন হলে তো মনে হয় এন্ডয়েড ইউজ করছ, তাই না? নাকি অন্য কিছু? ওয়াইফাই ইউজ কর? বাসায় যখন থাক, তখন মনে হয় না, ল্যাপটপের নেট যদি ওয়াইফাই দিয়ে শেয়ার করে মোবাইলে ইউজ করা যেত তাহলে খুব ভালো হত? সবাই এটার জন্য সাধারতন সফটওয়ার ইউজ করে। ঝামেলাটা অন্যখানে, বেশিরভার সফটওয়্যারেই টাকা চায় ফুল ভার্সনের জন্য, তাই না? মজা হল, উইন্ডোজে এই ক্যাপাসিটি বিল্ট ইন আছে। কোন টাকা লাগে না। খালি একটু খাটতে হয়। তবে ফ্রি ১০টাকার কিছু পেতে, বাঙ্গালী রাত তনটা থেকে লাইন দেয়। আর তোমরা তো সেই বাঙ্গালী জাতিরই অংশ। আজকে তাই, সেই ফ্রি উপায়টাই শিখাব তোমাদের।

পার্থিব সুখেরা

হঠাৎ করেই পরিবর্তন এলো। তবে, আভাস যে ছিলনা তা নয়। প্রত্যাশাও ছিল। তবে, সময়কালটা সব সময়ই, অপ্রত্যাশিত। পার্থিব সুখেরা যখন বিদায় নেয়, অপার্থিব জগতে ডুবে যেতে খুব বেশি কষ্ট হয় না। অপার্থিব কাউকেই কখনও বিমুখ করে না। বিমুখ করতে পারে, পার্থিব সুখেরা। ছায়ার পেছনে ছুটে ফেরা মানুষের দুই জগতের মাঝে আনাগোনাতে কোন বাধা নেই। বিদায় যদি নিতে চাও, একান্তই তবে তা ই হোক। বিদায় হে পার্থিব সুখেরা।