Tuesday, August 25, 2020

দুঃসময় বা দুঃস্বপ্নের সময়...

কেন যেন মনে হচ্ছে দুঃস্বপ্ন দেখছি, আর প্রচন্ড অসহায় হয়ে চাচ্ছি, কেউ আমার ঘুমটা এক ঝটকায় ভেঙ্গে দিক।

দুঃস্বপ্নের শুরু মায়ের অসুস্থতা দিয়ে। এখান ওখান করে শেষ পর্যন্ত কুর্মিটোলা হাসপাতালে পৌছালাম, ইমারজেন্সি-তে ওদের প্রশ্নের জবাব দিতে দিতেই মেইল এল, আম্মার COVID-19 পজিটিভ। সব ভয় ভুলে, চলে গেলাম রোগি ভরা ওয়ার্ডে, বেডে শুইয়ে দিলাম, ডায়ালাইসিস করে দিলাম। চলে আসার সময়, একবার মনে হল, এর পর আর দেখা হবে না।

দু'দিন পর, ICU তে যায়গা পাওয়ায়, একটু নিশ্চিন্তে অফিসের একটা মিটিং এ জয়েন করলাম। মাঝামাঝি সময় ফোন এল, আম্মু সব চিকিৎসার বাইরে চলে গেছে, আম্মুকে নিয়ে আসতে হবে। সেদিন সেপ্টেম্বরের ৩০, ২০২০। ঈদের আর দুদিন বাকি। পরদিন বানানি কবরস্থানে মাটি চাপা দিলাম। সেই সময় প্রচন্ড বৃষ্টি, আগের দিন থেকেই স্বাভাবিকভাবেই চলছিলাম, কিন্তু কেন যেন এখন আর পারলাম না, সকল আত্মসংযমের বাধ ভেঙ্গে চুরে, বুকের ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে কান্না এল। 
বৃষ্টির পানি, মুখের মাস্ক, পিপিই সব মিলে সেই চোখের পানি লুকিয়েই ছিল হয়তো, খেয়াল করা হয়নি। বা সেই অবস্থায় ও ছিলাম না।

 এর পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন, বাসার সবার। এর মাঝেই বাবার পাতলা পায়খানা আর বমি। মামা বললেন, ভয়ের কিছু না, দাতে ব্যাথার যে ওষুধ, সেটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়।  বাবা বেশ দুর্বল, খাওয়া কমে গেল, জীবনে যেটা দেখি নাই, ভাত নষ্ট করছে প্রতি বেলা। আমারও সেই সময় অল্প জ্বর দিয়ে কাশি হয়েছে। সেই সাথে, কোন রকম গন্ধ নেবার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু, বাবার ভাত নষ্ট করা দেখে, মনের আশংকা-কে প্রশমিত করি নিজেকে এই বলে, যে আর ২-৪ দিন পরেই কোয়ারেন্টিন শেষ, সবার টেস্ট করিয়ে ফেলব, পিজির ফিভার ক্লিনিকে বুকিং দিতে হবে।

শুক্রবার কয়ারেন্টিন শেষ হবে, বের হবার জন্য প্ল্যান করছি, এমন সময় আব্বা বলল, "আমার অক্সিজেনটা মাইপা দে তো"। ভেতরটা কেপে উঠলো সাথে সাথেই। মেপে দেখি, আসলেই খারাপ। মামাকে জানালাম, ৪-৫টা টেস্ট করতে বললেন। ২ টার রেজাল্ট দেরিতে পাব, জাতীয় শোক দিবসের বন্ধের কারনে, বাকিগুলা পেলাম, নিউমোনিয়া। 

ওষুধ আর অক্সিজেন চলছে, দুদিন পর পেলাম বাকি দুটা রিপোর্ট। সেই সাথে COVID-19 পজিটিভ। এবার ভর্তি পিজিতে, আগস্টের ১৭, ২০২০ । প্রথমদিন অক্সিজেন লাগলো, পরদিন থেকে অক্সিজেন ছাড়াই সুস্থ। আব্বার দেখাদেখি, পাশের বেডের সিরিয়াস রোগিও অনেক মনের বল পেয়েছেন,  এখন উনিও অনেক সুস্থ। শনিবার ডাক্তার রিলিজের কথা পাড়লেন। এভাবে চললে রিলিজ দিয়ে দিবেন। আমাদের হিসেব, দিলেও আমরা আরও ২ দিন থাকবো, কোন রিস্ক নিব না।

রবিবার আগস্ট ২৪, ২০২০, খাবার দিতে আসার আগেও ছোট ভাইয়ের কাছে সুনলাম, ডাক্তার রিলিজ দেবার জন্য রেডি। বৌ এর সাতজে প্ল্যান করলাম, যে আব্বা এলে, আমার সাথেই রেখে দিব। ছোট ভাইয়ের সাথে থাকার দরকার নাই। একটু পর শুনলাম, মাথা ব্যাথা, বমি করে কমেছে, ঘুমাচ্ছে। হাস্পাতাল পৌছে, খাবার নিয়ে ঢুকে দেখি, আবার বমি করছে। ছোট ভাইকে পাঠালাম ডাক্তারের কাছে।

আব্বার কাছে আমি একা। এর মধ্যেই আরেকবার উঠল, জিজ্ঞাসার জবাবে বললো বমি করবে। নিয়ে গিয়ে করালাম, ধোয়ালাম, এনে আবার বিছানায় শোয়ালাম। পানি খাবে নাকি জিজ্ঞাসা করতে বলল খাবে। সেটাও দিলাম। ততক্ষণে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি। চোখের সামনেই, আস্তে আস্তে জ্ঞান হারালেন, আমি তখন একা।

এরপর অনেক কিছুই হয়ে গেল।  ডাক্তারের ভাষ্যে , খারাপ লাগলেও, তাদের, খারাপ সংবাদ দিতেই হয়। আমরা যেন নেগেটিভ নিউজের জন্য প্রিপেয়ার্ড হই। 

সোমবার, আগস্ট ২৫, ২০২০ ভোর ৪ঃ৪৯। এখনো আমি একা, ICU-তে কোমায় থাকা বাবার বেড এর পাশে বসে। প্রানপনে চাচ্ছি, কেউ আমার ঘুমটা ভাঙিয়ে দিক, আমি দেখি, আমি আমার বিছানায় ঘুমাচ্ছিলাম, আব্বার পাশের ঘরে, সুস্থ, এবং নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।

একজন মানুষের হৃদয় আর কতটা কঠিন হতে পারে? নিজের চোখের সামনে সবকিছু হারাতে দেখতে পারে? কেউ কি এই দুঃস্বপ্নভরা ঘুমটা ভাঙিয়ে দিবেন প্লিজ?

Sunday, February 17, 2019

Personal notes on my Transition form Windows to Linux - Part 2 : Prepation

So...
You wanna ditch windows and use Linux all the time? You have properly gone through all the steps in deciding that as desciribed (or may be differently) in the first part. What's next? 

The first step is preparation, both mental, physical. 

By Physical, I meant in your PC or Laptop obviously.

Personal notes on my Transition form Windows to Linux - Part 1 : Prolouge

Deciding to move to Open-source/Free software and Linux for everyday task is not a small decision. Especially when living in Bangladesh where almost 80% of the people still uses ASCII font based system for typing Bangla language, paying for software is a very remote idea which happens to only to the “Other people”.

Thursday, November 23, 2017

বন মানুষের পণ

জমিয়ে রাখা বাচার ফুয়েল,
পুড়তে থাকুক।
লেলুয়া হাওয়ায় ব্যাস্ত নগর,
চলতে থাকুক।

স্থবির পথে বনমনুষের
একলা চলা।
কল্পনাতে সঙ্গী একে
গল্প বলা।

Saturday, May 27, 2017

অর্বাচীন ভাবনারা - ১

মানুষগুলো হারিয়ে যায় অনেক দ্রুত।
আমার যেমন লিখতে বসার হয় না সময়।
আড্ডাবাজি? অনেক দুরে...
মাস-কাবারের হিসেব কষেই সময় কাটে...

Wednesday, September 28, 2016

লুকোচুরি প্রেম ৫

ঘুরতে আমার দারুণ লাগে,
তোমার সাথে, রিকশাতে।
হচ্ছে দেরি? হলই না হয়,
ঘুরব দুজন একসাথে।

লুকোচুরি প্রেম ৪

মুঠোফোনে সারাক্ষণই
তোমার সাথে কথা।
যতোই সবাই বিরক্ত হোক,
করুক মাথা ব্যথা।

কেউ জানে না ঐ পারে কে,
সুযোগটা-ই এটা।
গোপনই থাক সেই সে মানুষ,
গোপন প্রেমিক যেটা...

-(৪ঠা চৈত্র, ১৪২১)

লুকোচুরি প্রেম ৩

তির্যক আলোর রোদ্দুরে,
সুখ পোকারা যায় উড়ে।
দেখতে থাকা আপন মুখ,
ঠিকরে বেরোয় সকল সুখ...

সন্ধ্যে বেলায় আলোর ছাপ,
জোনাক হাটের খুলবে ঝাপ।
দুখ হয়ে যায়, সুখের ক্ষণ,
তোমায় দেখার পরক্ষণ...

-(৩রা চৈত্র ১৪২১)

লুকোচুরি প্রেম - ২

সকল কাজে, সারাক্ষণই তোমায়ই পাশে চাই...
লোক সমুখে হলাম না হয় আমার ছোট ভাই।  ;-)

আমি ছোট, তুমি বড়, লাভই আছে তাতে...
এই উসিলাই দিলে না হয় সন্দেহ কাটাতে :-P

-(১লা চৈত্র, ১৪২১)

লুকোচুরি প্রেম - ১

এমন যদি হত,
প্রতিদিনই পেতাম তোমায়-
ছুটির দিনের মত...

অভাব বড়ই সময় পাওয়া,
তোমায়, আমার পাশেই চাওয়া,
বাড়তে থাকে, মনের ভেতর,
আকাঙ্ক্ষার এক ক্ষত...

কি আর করা যাবে...
ছুটির দিনেও সাক্ষাত হয়,
অফিস করার ভাব-এ...

-(১৪ই মার্চ, ২০১৫)

Sunday, January 17, 2016

হুট করে খুন হয়ে যেতে পারি

হুট করে খুন হয়ে যেতে পারি...
মাঝ রাতে অথবা ভর বিষণ্ণ দুপুরে।
বাড়ির পাশের গলিতে, অথবা দুরের...

হুট করে খুন হয়ে যেতে পারি....
হয়তো বা খুব শীঘ্রই অথবা অনেক দেরিতে।
কোন উত্তাল সময়ে অথবা শান্তিতেই...

ভবিষ্যৎ

প্রতিদিন অনিশ্চিতে পথ চলা,
প্রতিদিন জীবন নামের প্রহসন।
প্রতিদিন আশংকাতে পা ফেলা,
প্রতিদিন ত্রাসে হয় একবার মরণ।
এভাবেই জ্বলবে নিয়ন ঠিক রঙিন,
জীবনের থেমে যাওয়া অসম্ভব।
এভাবেই হঠাৎ কোন একটা দিন,
গলিতে থাকবে পরে আমার শব।

- (১৯শে কার্তিক, ১৪২২)

লুকোচুরি প্রেম - ৫

আমার মনের গোপন প্রেমের কথা,
একটু একটু করেই যায় যে বেড়ে।
বাড়তে থাকে বুকের এ শুন্যতা,
অল্প সময়ও থাকলে তোমায় ছেড়ে।